ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সংসদীয় আসনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থককে তুলে নিয়ে নির্যাতন শেষে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রিটার্নিং অফিসার বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের অনুলিপি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে এ ঘটনার পেছনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুসা আনসারী জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়। মুসা আনসারীর ভয়ে আহত যুবক সদর হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে পারেননি বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়।
তবে মুসা আনসারি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব বিষয় বানানো। মিথ্যা অভিযোগে আনা হয়েছে। আমি কেন কাউকে তুলে আমার বাসায় নিয়ে যাবো। ফিরোজুর রহমানের ছেলে শেখ ওমর ফারুক বানিয়ে বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে কোনোটারই সত্যতা পায়নি।

এদিকে ওমর ফারুকের দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সুলতানুপরের মাজু খানের ছেলে ইকবাল হোসেন অভিকে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তুলে নেওয়া হয়। তাকে মুসা আনসারীর কাচারি বাড়িতে নিয়ে সামনে পিস্তল রেখে ভিডিও করা হয়। তাকে ইনজেকশন পুশ করলে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে হাত বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ দিয়ে ফেলে রাখা হয়।
শেখ ওমর ফারুক বলেন, নির্বাচনের শুরুতে থেকেই আমাদেরকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমাদের ভোটার স্বাক্ষরের তালিকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। একজন স্বাক্ষরদাতাকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম শেখ বলেন, আমি অনুলিপি পেয়েছি। যেহেতু রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর সরাসরি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তাই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এফএ/জিকেএস