যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন, বিএনপির ২০ নেতাকর্মীর নামে মামলা
ফেনীতে যুবলীগ কার্যালয়ে আগুনের ঘটনায় বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাতে মামলাটি করেন ফেনী পৌরসভার মধ্যম রামপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম।
মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কপিল উদ্দিন, যুবদলের সদস্য আমান উদ্দিন, কামরুল হাসানসহ ২০ জনের নামে মামলা করা হয়। এছাড়া আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে বাদিসহ কয়েকজন নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কাজে ফেনী পৌরসভার মধ্যম রামপুর এলাকার যুবলীগ কার্যালয়ে ছিলেন। এসময় আসামিরা লাঠিসোঁটা, রড, রামদা, চাপাতি, পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় তারা ৩০ থেকে ৩৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ছাড়া কার্যালয়ে থাকা কর্মীদের মারধর করে। এতে কার্যালয়ের প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, এসব রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে করা গায়েবি মামলা। পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে গায়েবি মামলা করে বিএনপিকে মাঠছাড়া করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএনপির কর্মীরা মাঠেই রয়েছেন ও থাকবেন। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, যুগ্ম-আহ্বায়ক, যুবদলের সভাপতি-সম্পাদক ও অঙ্গসংগঠনসহ ফেনী জেলা বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে ও অসংখ্য অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ মামলায় এখনো কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ফেনীর বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ২৬টি মামলা হয়েছে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এনআইবি/এমএস