সংসদ নির্বাচন
জামালপুরে ২৭ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারালেন ১৮ জন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে ১৯ প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া যায়। ইসির বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের অন্তত এক ভাগ ভোট পেতে হবে।
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১ হাজার ৪৯৯ জন। ভোট পড়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ১৬২টি। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩০ হাজার ১৪৫ ভোটের। কিন্তু কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আব্দুল্লাহ আল মামুন গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৭৫৯ ভোট, জাতীয় পার্টির এসএম আবু সায়েম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৭০ ভোট, তৃণমূল বিএনপির মো. গোলাম মোস্তফা সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ১১৭ ভোট। ফলে তিনজনই জামানত হারিয়েছেন।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯০৭। ভোট পড়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৬৩৬টি। জামানত রক্ষার জন্য প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ১৪ হাজার ২০৪ ভোট। কিন্তু জাতীয় পার্টির মোস্তফা আল মাহমুদ লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২২০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান আলী মন্ডল ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৭০৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক জিয়া ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১২৫ ভোট, তৃনমূল বিএনপির মো. হোসেন রেজা বাবু সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৩ ভোট।
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১ হাজার ৮১৯ জন। ভোট পড়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ১১১টি। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৬ হাজার ১৩৮ ভোটের। কিন্তু জাতীয় পার্টির মীর সামসুল আলম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭০ ভোট এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) মো. নজরুল ইসলাম বাইসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৭২০ ভোট।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৬১ জন। ভোট পড়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৬৫টি। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ হাজার ৩৮৩ ভোটের। কিন্তু বিএনএফের তারিখ মাহাদী টেলিভিশন প্রতীকে পেয়েছেন ৫১৩ ভোট, তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ১২৯ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. আবুল কালাম আজাদ লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪০০ ভোট, জাসদের মো. গোলাম মোস্তফা জিন্নাহ মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৬ ভোট।
জামালপুর-৫ (সদর) আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৮০ জন। ভোট পড়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৬টি। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৬ হাজার ২৯৯ ভোটের। কিন্তু বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু সায়েম মোহাম্মদ সা-আদাত উল করীম ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯৭ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. জাকির হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৭১৮ ভোট, জাতীয় পার্টির (জেপি) বাবর আলী খান বাইসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮৮ ভোট, এনপিপির মো. রফিকুল ইসলাম আম প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬৫ ভোট এবং বিএসপির মো. সাব্বিরুজ্জামান একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৯ ভোট।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শফিউর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভোটের চেয়ে জেলার ১৮ প্রার্থী কম ভোট পাওয়ায় তারা জামানত হারিয়েছেন।
মো. নাসিম উদ্দিন/কেএসআর