কুড়িগ্রামে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৩:১৬ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪

কুড়িগ্রামে টানা সাতদিন পর সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ঠান্ডার তীব্রতা কমেনি। ফলে শীতের ভোগান্তির পাশাপাশি বেড়েই চলেছে ঠান্ডাজনিত রোগ। বিশেষ করে চরাঞ্চলের বয়স্ক ও শিশুদের মাঝে ডায়রিয়া এবং সর্দি-কাশি রোগ বেড়েছে।

এদিকে শীতের কষ্ট নিবারণে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে সামাজিক সংগঠনগুলো।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে জেলায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দুদিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

হাসপাতালে আসা চর ভগবতীপুরের মোছা. আছমা বেগম বলেন, গত তিনদিন ধরে আমার বাচ্চার অসুখ। খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ঠান্ডার কারণে ডায়রিয়া হয়েছে। সকালে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। চিকিৎসা চলছে, এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয় নাই।

কুড়িগ্রাম সদরের ভেলাকোপা গ্রামের মো. ইউনুস আলী বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ থেকে রাতে ও সকালে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। আমরা যারা দিন আনি দিন খাই, তারা সবাই কষ্টে আছি। প্রচুর ঠান্ডা মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না।

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এ জেলায় ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে ভর্তি হওয়া বেশিরভাগ রোগীরা চরাঞ্চলের। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৩১ জন শিশু। মোট ৭২ শিশু ভর্তি রয়েছে। এরমধ্যে ডাইরিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৫৭ জন শিশু।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন এমন থাকবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

এফএফ/জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।