উঠানে পড়ে ছিল ১০১ সুইবিদ্ধ পুতুল, পরিবারে আতঙ্ক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪

লাল-সাদা রঙের একটি পুতুল। তবে পুতুলজুড়ে অসংখ্য সুই। গুনে দেখা গেলো ১০১টি সুই এতে বিদ্ধ করা আছে। পুতুলটি পড়ে ছিল বাড়ির উঠানে।

এমনই ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকার মৃত মাজেদুল ইসলামের বাড়িতে। এ ঘটনায় ওই বাড়িতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বাড়ির উঠানে পুতুলটি পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয়দের ধারণা, জাদুটোনা করার জন্য কেউ হয়তো এমনটি করেছেন।

ওই পরিবারের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম (৩৬) বলেন, ‘আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হই। পরে বাড়ি এসে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে তৈরি করছিলাম। হঠাৎ আমার মেয়ের উঠানে পড়ে থাকা পুতুলটির ওপর নজর পড়ে। পরে পুতুলটি নিয়ে দেখি ১০১টি সুই ঢোকানো পুতুলটির গায়ে। পরে আমি আমার ভাইকে ডাকি এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের খবর দেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কারোর সঙ্গে বিবাদ নেই। কেন মানুষ এমনটা করলো বুঝতে পারছি না। এটা নিয়ে আমরা সবাই অনেক দুশ্চিন্তায় আছি।’

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার একটি বাড়িতে কে বা কারা একটি পুতুল রেখে গেছেন। পুতুলের গায়ে ১০১টি সুই ঢোকানো। বিষয়টি রহস্যজনক।

এ বিষয়ে ভোগডাঙা সরদারপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শাহাজাহান আলী বলেন, ‌‘জাদুটোনা করার উদ্দেশ্যে কেউ করেছে কি না, এটা না দেখলে বোঝা যাবে না। কেননা পুতুলটির গায়ে কারো নাম লেখা থাকলে এটা কালো জাদুর মধ্যে পড়ে। হাদিসে জাদুটোনার বিষয়টি উল্লেখ আছে।’

তবে কুড়িগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এস এম আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতারণা করার জন্য কিছু মানুষ এ ধরনের কাজ করে আসছেন, যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এটা করে ভিকটিমকে ধারণা দেওয়া হয়, এই সুই পুতুলের শরীরে ফোটালে শত্রুর শরীরে গিয়ে আঘাত লাগবে। যাকে স্থানীয়ভাবে ‘কালো জাদু’ কিংবা ‘বান মারা’ বলা হয়ে থাকে; যার আদৌ কোনো সত্যতা নেই।

ফজলুল করিম ফারাজী/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।