শীতে নীলফামারীতে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা
নয়দিন ধরে নীলফামারীতে সূর্যের দেখা নেই। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভিড় করছেন আক্রান্তরা। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু ও বয়স্করা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শীতজনিত রোগীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বেশিরভাগ শিশু সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

চওড়া ইউনিয়ন থেকে আশা এক রোগীর মা বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে শীত ও বাতাস বাড়ার কারণে আমার বাচ্চার শ্বাসকষ্ট ও জ্বর দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা নিতে।’
সদরের সোনারায় থেকে চিকিৎসা নিতে আশা রোমানের মা বলেন, ‘সকালে ছেলেকে নিয়ে এসেছি। কাঁপুনি দিয়ে বার বার জ্বর আসেছে ছেলের। ভর্তির পরপরই একবার ডাক্তার এসে দেখে গেছে। বর্তমানে ছেলে কিছুটা সুস্থ হলেও পুরোপুরি সেরে উঠতে সময় লাগবে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।’
পৌর শাহিপাড়া মহল্লার ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু কুলছুমের মা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার দশ মাসের শিশু কুলছুম হঠাৎ পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে। তারপর সকালে হাসপাতালে ভর্তি করার পর কিছুটা কমেছে।’

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ মনিরা বেগম বলেন, হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত বেড রয়েছে ১০টি আমরা সেখানে আরও কিছু যুক্ত করেছি। এখানে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। আর এখান থেকে প্রতিদিন ৪০ জনেরবেশি শিশু চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছে। ঠান্ডা জনিত কারণে শিশুদের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল আউয়াল জাগো নিউজকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ অনেক বেড়ে গেছে। তীব্র ঠান্ডায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, হাঁপানী, এ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টসহ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতজনিত রোগ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে এসে বিশেষজ্ঞ চিকিসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এসময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের একেবারেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না।
এনআইবি/এএসএম