ঠাকুরগাঁও
কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি, প্রতিবাদে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বি.পি.বি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ১১ দিন ধরে সহকারী শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করছেন।
এ বিষয়ে ১৫ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়টির ১৪ জন সহকারী শিক্ষক। তবে সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় হতাশ অভিযোগকারী শিক্ষকরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে বিদ্যালয়টির শিক্ষক প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল ও অভিভাবক সদস্যদের না জানিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক আলম। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হন সহকারী শিক্ষকরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ১২ জানুয়ারি থেকে টানা ১১ দিন ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
স্কুলের শিক্ষক আবুল কাসেম, সালেহাসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, নিয়মনা মেনে নিজের ইচ্ছা মোতবেক বিদ্যালয়টি পরিচালিত করছেন প্রধান শিক্ষক আলম। বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ও সমন্বয় না করে এককভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন তিনি।
সহকারী শিক্ষক আব্দুল মতিন, মালেক, আইয়ুব আলী সরকারসহ কয়েকজন জানান, আমাদের স্বাক্ষর জাল করে গোপনে প্রধান শিক্ষক তিনজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন আমরা জানিনা। আমরা বিষয়টি জানতে চাইলে আমাদের বিভিন্ন হুমকি দেন তিনি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এদিকে ক্লাস বর্জন করায় ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা। প্রতিদিন স্কুলে উপস্থিত হলেও ক্লাস না হওয়ায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। সমস্যা নিরসন ও পুনরায় ক্লাস শুরুর জন্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুমনা, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রেদওয়ান ও সাদেক আলী জানান, শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন আমাদের ক্লাস হচ্ছে না। আমরা প্রতিদিন স্কুলে যেয়ে ফিরে আসি। আমাদের ক্লাস না হওয়ায় লেখাপড়ায় সমস্যা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আলম প্রতিবেদককে বলেন, আমার অনুমতি ছাড়া আপনার ওখানে যাওয়া ঠিক হয়নি। আমার কিছু বলার নেই আপনার যা করার আপনি করতে পারেন।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহীন আকতার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করা হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছুটিতে আছেন তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তানভীর হাসান তানু/এনআইবি/এমএস