তাপমাত্রা বাড়লেও দিনাজপুরে কনকনে শীত

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: ০৮:১৮ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪

দিনাজপুরে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে কর্মহীন হয়েছেন অনেক খেটে খাওয়া মানুষ।

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় আদ্রতা ৯৬ শতাংশ। বাতাসের গতি ০২ নটস।

এদিকে জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষজন।

হাকিমপুর উপজেলার কৃষক আসলাম পারভেজ বলেন , এতদিন ধরে একটানা এমন ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা আমার জীবনে প্রথম দেখলাম। ঠান্ডায় কাজ করা খুবই কষ্ট। ঠান্ডার কারণে আয় অনেক কমে গেছে। এতে করে সংসার চালাতে অনেকটা হিমসিম খেতে হচ্ছে।

মমতাজ হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, কালকের থেকে আজ কিছুটা কুয়াশা কমলেও কনকনে ঠান্ডায় শরীর কাঁপতেছে। আমাদের এই এলাকার অনেক বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। সব মিলে আমরা অনেক কষ্টে আছি।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, জানুয়ারি মাসজুড়েই জেলায় তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হিমেল হাওয়া এমন তাপমাত্রা কমার প্রধান কারণ। তবে কদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে সেটিকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

মো. মাহাবুর রহমান/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।