সেতু পারাপারে কাঠের সাঁকো!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ০৮:৩২ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪

তিন গ্রামের হাজারও মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা শকুনিয়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটি। তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় কাঠের সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে। এ চিত্র ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের।

তিন বছর আগে অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সরে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তিন গ্রামের বাসিন্দারা।

jagonews24

এলজিইডি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শকুনিয়া খালের ওপর ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে। এ সেতু দিয়ে চর চান্দিয়া, নবীউল্যার বাজার, চর দরবেশ, উত্তর চর চান্দিয়া, জমাদার বাজার, ইটালি মার্কেট, চরশাহভিকারী, চান মিয়ার দোকান, লেংগার দোকানসহ তিন গ্রামের হাজারও মানুষ যাতায়াত করেন।

jagonews24

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে সেতু নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে রেলিং ভেঙে খালে পড়ে যায়। সেতুর পিলারের পলেস্তারা খসে পড়তে থাকে। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলেও সংস্কার কিংবা নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে এ বিষয়ে বারবার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।

স্থানীয় জসিম উদ্দিন বলেন, বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোতে বারবার সাকোঁ ভেঙে যায়। স্থানীয়রা আবার জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার করেন। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি মাথায় নিয়ে সেতু পারাপার করতে হয়।

jagonews24

চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিলন বলেন, সেতুটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে আবেদন করেছি, তবে কোনো কাজ হচ্ছে না। মানুষের ভোগান্তি লেগেই আছে। সেতুটি সংস্কার বা নতুন তৈরি করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চর চান্দিয়ার শকুনিয়া খাল বহুদিনের বড় পুরোনো খাল। সেখানে পুরোনো সেতুটি ভেঙে যাওয়ার খরর শুনেছি। পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।