সুসময় এলে সব হত্যা-গুমের বিচার করবে বিএনপি: মিনু

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। এসব কোনো ঘটনার বিচার হয়নি। সুসময় এলে সব হত্যা-গুমের বিচার করবে বিএনপি।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নওগাঁয় গুপ্ত হামলায় নিহত বিএনপি নেতা কামাল আহমেদ ও কারাবন্দি অবস্থায় মারা যাওয়া বিএনপি নেতা মতিবুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘কামাল আহমেদকে হত্যার পর তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এমনকি এ ঘটনার রহস্য পর্যন্ত উদঘাটন করতে পারেনি। অথচ নিহতের স্বজনরা ও এলাকাবাসী সবাই জানে কামালকে নিহতের ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জড়িত। ঘাতকদের সবাই চেনে। বিএনপির সুসময় এলে এই হত্যার বিচার করা হবে। সব অন্যায়ের প্রতিশোধ নেওয়া হবে।’

এসময় নিহত বিএনপি নেতা কামাল আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের সান্ত্বনা দেন মিনু। শিগগির বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত বিএনপি নেতাদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

গতবছরের ১৮ নভেম্বর রাত সোয়া ৯টার দিকে নওগাঁ-সান্তাহার সড়কের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় কামাল আহমেদকে বহনকারী অটোরিকশার গতিরোধ করে হামলা করে হেলমেট ও মাস্ক পরা দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক কামাল আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নওগাঁ সদর থানায় নিহত কামাল আহমেদের ছেলে নবাব আলী অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

নিহত কামাল আহমেদ নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি নওগাঁ জেলা ট্রাক বন্দোবস্তকারী কমিটির সাবেক সভাপতি।

গতবছরের ২০ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা মতিবুল ইসলাম নওগাঁ কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। তিনি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

সাক্ষাতের সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহীর সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ রিপন, শেখ রেজাউল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার, সদস্য সচিব রুহুল আমিন মুক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মশিউর রহমান/এসআর/এএসএম