বড় বোনের পর মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন পূরণ দিবার
বড় বোনের পর মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে দিবা ইসলামের। এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। দুই বছর আগে বড় বোন রাহমানিয়া ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।
দুই বোনের এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে নিজেদের চেষ্টা ও বাবা-মার সংগ্রাম। তাদের বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার রামরায়পুর সরদারপাড়া গ্রামে। বাবা আসাদুল ইসলাম রামরায়পুর দিঘীরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মা দেওয়ান মোসলেমা বেগম গৃহিনী। মা-বাবা আর দুই বোনের সংসার তাদের। দুই বোনই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেছেন নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে দুজনই প্রাথমিক ও জেএসসিতে জিপিএ-৫ ও মেধাবৃত্তি পেয়েছেন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসিতেও পান জিপিএ-৫। আবার উচ্চ মাধ্যমিকেও দুই বোন একই প্রতিষ্ঠান রাজশাহী কলেজে পড়াশোনা করেছেন। সেখান থেকেও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন।
সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বড় বোন রাহমানিয়া ইসলাম দোলা ২০২১-২০২২ সেশনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। বড় বোনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবার ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন ছোট বোন দিবা ইসলাম। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
দিবার বাবা আসাদুল ইসলাম বলেন, আমার দুই মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে পারে এটা আমাদের একটা বড় স্বপ্ন। ওদের দুজনেরও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আমার দুই মেয়েই বেশ বুদ্ধিদীপ্ত এবং পড়াশোনায় মনোযোগী। ওদের মা দুজনের পেছনে অনেক সময় দিয়েছেন। বড় মেয়ের পর ছোট মেয়েটাও মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় পরিবারের সবাই অনেক খুশি। এখন ওরা যাতে ভালো করে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা শেষ করে মানুষের সেবা করতে পারে এটাই আমাদের চাওয়া।
দিবা ইসলাম বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। বড় আপু যখন মেডিকেল চান্স পেল তখন আমার চিকিৎসক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা আরও বেড়ে যায়। পড়াশোনায় মনোযোগ আরও বাড়িয়ে দিই। অবশেষে সেই স্বপ্ন ধরা দেওয়ায় এখন অনেক ভালো লাগছে। আব্বু-আম্মুও অনেক খুশি।
দিবার বড় বোন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাহমানিয়া ইসলাম বলেন, আমাদের সাফল্যের পেছনে বাবা-মার অবদানই বেশি। তারা অনেক কষ্ট করে আমাদের বড় করেছেন। এছাড়া আমাদের শিক্ষকসহ আরও অনেকেই উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের কষ্টের কথা মাথায় রেখে আমরা স্বপ্ন পূরণে চেষ্টা চালিয়ে যাব।
মশিউর রহমান/আরএইচ/এমএস