কুসিক উপনির্বাচন

কায়সারের ঘাড়ে ১৫ মামলা, সাক্কু দুই

জাহিদ পাটোয়ারী
জাহিদ পাটোয়ারী জাহিদ পাটোয়ারী , কুমিল্লা কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৫:১৮ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) উপনির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। এদের মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সারের (ঘোড়া প্রতীক) নামে রয়েছে ১৫টি মামলা। তবে থানা কিংবা আদালতে কখনো আসামির তালিকায় নাম ওঠেনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনার (বাস প্রতীক)।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেনের কার্যালয়ে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এতথ্য জানা গেছে।

হলফনামার তথ্য বলছে, নিজাম উদ্দিন কায়সারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, বিস্ফোরক আইন, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১৫টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে আটটি বিচারাধীন, একটি তদন্তাধীন, দুটির কার্যক্রম স্থগিত এবং চারটি থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি।

অপর প্রার্থী কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনার বিরুদ্ধে অতীতে কোনো মামলা ছিল না। বর্তমানেও নেই।

মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিমের (হাতি প্রতীক) নামেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। তবে তিনি অতীতে চারটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। যার তিনটি থেকে অব্যাহতি এবং একটিতে খালাস পেয়েছেন।

সাবেক বিএনপি নেতা দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) নামে দুটি মামলা বিচারাধীন। অতীতে তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা ছিল। যার তিনটি থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। এছাড়া একটি থেকে মুক্তি ও ছয়টি থেকে অব্যাহতি পান এ প্রার্থী।

মামলার বিষয়ে নিজাম উদ্দিন কায়সার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার সব মামলা রাজনৈতিক। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই আমি মামলায় শিকার হই। কারাগারে যাই। আমি এখনো আন্দোলনে আছি। দলের নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন।’

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘বর্তমান বিচারাধীন দুটি মামলা ওয়ান ইলেভেনের সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে দায়ের করে। নিম্ন আদালতে এ মামলায় আমি খালাস পেয়েছি। পুনরায় তারা উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। এ মামলায় আমি নির্দোষ। ইনশাআল্লাহ সেখানেও খালাস পাবো।’

আগামী ৯ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালে এ সিটিতে নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কুকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত। ওই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ এবং সাক্কু পান ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।

২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিফাত। এরপর থেকে প্যানেল মেয়র হাবিবুর আল আমিন সাদী ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আয়তন প্রায় ৫৩ দশমিক ৮৪ বর্গ কিলোমিটার। এ সিটিতে ২৭ ওয়ার্ড রয়েছে। ভোটার দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন।

জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।