সায়েম-জিয়া-মোশতাকের ক্ষমতা দখল ছিল অবৈধ: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আমরা পঞ্চম সংশোধনী মামলায় বলেছি, জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি সায়েম সাহেব, খন্দকার মোশতাক তারা যে কাজটি করেছিলেন তা ছিল বেআইনি। পঞ্চম সংশোধনী মামলায় তখন বিচারপতিরা বলেছেন, অবৈধ এবং পঞ্চম সংশোধনী মামলায় যতগুলো কাজ হয়েছে সেগুলোও ছিল অবৈধ।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘পঞ্চম সংশোধনী মামলায় তখন বিচারপতিরা বলেছেন, সায়েম সাহেবের ক্ষমতা দখল ও আহরণ ছিল বেআইনি। জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা দখল বেআইনি ছিল। এ বেআইনি কাজটি তারা জাজমেন্ট দিয়ে বলেছেন, বেআইনি। একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনীর সাহায্যে করেছে, এটাও ছিল বেআইনি।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে আবেগের তাড়নায় হোক বা বঙ্গবন্ধুর মায়ার কারণেই হোক; যারা অস্ত্র হাতে নিয়ে এ বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করেছেন, একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্ত্র দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে একটি অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে জারি করেছিল; তাদের বিরোধে যারা অস্ত্র ধরে ছিল, তাদের সেইদিনের অ্যাকশন আর আমাদের পঞ্চম সংশোধনী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে কথা বলেছেন, কাজ তো একটায়। আমরা কলমে করেছি আর তারা অস্ত্র হাতে নিয়ে চেষ্টা করেছে।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমি যখন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলাম চেয়ারম্যান হিসেবে তখন আমার মনে পড়তো আমার সামনে মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষ্য দিচ্ছেন। আমার কোর্টে বিচার হয়েছে আলী আহসান মুজাহিদ, মীর কাশেম আলী, এইচ এম কামরুজ্জামান, মাওলানা ইউসুফ। ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি, তারা কখনো সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বাড়িয়ে কথা বলতেন না। তারা বলেছেন, আমি এইটুকু করেছি।’
রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের সভাপতি আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার প্রমুখ।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এএসএম