কবরস্থানে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতককে চান ডাক্তার ব্যাংকার প্রবাসী
![কবরস্থানে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতককে চান ডাক্তার ব্যাংকার প্রবাসী](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/mymn-20240303090756.jpg)
ময়মনসিংহের নান্দাইলে রাস্তার পাশে কবরস্থানের জঙ্গল থেকে কান্নার শব্দ শুনে এক নবজাতককে উদ্ধার করেন অটোরিকশার চালক সুরজ মিয়া। কুড়িয়ে পাওয়া সেই মেয়ে নবজাতকটিকে দত্তক নিতে ডাক্তার ও ব্যাংকার দম্পতিসহ অন্তত ১০ জন আবেদন করেছেন। এছাড়াও লন্ডন থেকে একজন শিশুটিকে দত্তক নিতে যোগাযোগ করছেন।
শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পাল জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে উপজেলার মুসুল্লি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার সময় রসুলপুরে রাস্তার পাশ দিয়ে মো. সুরুজ মিয়া অটোরিকশা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় রাস্তার পাশে নির্জন কবরস্থানে কান্নার শব্দ শুনে কাপড়ে পেঁচানো নবজাতককে উদ্ধার করেন তিনি। সেখান থেকে নান্দাইল মডেল থানায় নবজাতকটিকে নিয়ে যান। পরে রাত ৯টার দিকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল জানান, নবজাতকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সে সুস্থ আছে, তার বয়স আনুমানিক ২-৩ দিন হবে।
মো. সুরুজ মিয়া বলেন, অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় কবরস্থানে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করি। শিশুর পরিবারের সন্ধান না পেলে শিশুটির দায়িত্ব আমি নিজেই নিতে চাই।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, নবজাতক উদ্ধারের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। নবজাতকের বিষয়ে ইউএনও সাহেব সিদ্ধান্ত নেবেন।
ইউএনও অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, উদ্ধারকৃত নবজাতকের পরিচয় খোঁজার চেষ্টা করছি। তবে এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া যায়নি। শিশুটিকে দত্তক নিতে ডাক্তার ও ব্যাংকার দম্পতিসহ অন্তত ১০ জন আবেদন করেছেন। এছাড়াও লন্ডন থেকে শিশুটিকে নিতে একজন যোগাযোগ করছেন।
তিনি আরও বলেন, শিশুটির ভবিষ্যতের জন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডে সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিশুটি স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। হাসপাতালে ওই অটোরিকশা চালকের স্ত্রী ও স্থানীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের লোকজন দেখাশোনা করছেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এফএ/এএসএম