যশোরে পর্দা উঠলো ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার
তিন দশক পর যশোরে ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে শহরের টাউন হল ময়দানে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত মেলা চলবে। দশ দিনব্যাপী মেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৈশাখী মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী, যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ, যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপংকর দাস রতন, যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু, সহ-সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন অর রশিদ, বাসুদেব বিশ্বাস, পান্না লাল দে প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু। আয়োজকরা জানান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও যশোর ইনস্টিটিউট যৌথভাবে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ১০ দিনব্যাপী লোকজ সংস্কৃতি উৎসব ও বৈশাখী মেলা ১৪৩১ আয়োজন করেছে।
৩০ চৈত্র ১৪৩০ থেকে ৯ বৈশাখ ১৪৩১ পর্যন্ত (১৩ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত) যশোর টাউন হল ময়দানে এই মেলা চলবে। বৈশাখী মেলায় ৬০টি স্টল থাকছে। স্টলগুলোতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পণ্য সম্ভার স্টলগুলোতে স্থান পেয়েছে। যশোরের বরেণ্য ব্যক্তিদের নামে ‘প্যাভিলিয়ন’ এবং জেলার প্রয়াত সংস্কৃতিজনদেরও মেলায় নানা আঙ্গিতে সম্মান জানানো হচ্ছে।
সমগ্র আয়োজনে যশোরসহ জেলা ও উপজেলার মোট ১৩০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করবে। বাংলা সংস্কৃতি পরিচয়বাহী কবিগান, পটগান, গম্ভীরা, জারিগান, সঙ যাত্রা, লাঠিখেলা, সাপ খেলাসহ গ্রাম বাংলার লোকজ আঙ্গীক ধারাবাহিকভাবে প্রদর্শিত হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে সমস্ত সংগঠনের শিশুদের নিয়ে শিশুতোষ আয়োজন থাকবে। আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এটি আমাদের বিশেষ উদ্যোগ। পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে যশোরের সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীরা অনুষ্ঠান উপস্থাপন করবেন।
মিলন রহমান/এমআরএম