আগামী ৬ মাসের মধ্যে স্মার্ট বগুড়া হিসেবে গড়ে তোলা হবে: পলক
ছয় মাসের মধ্যে বগুড়ায় জয় ডি-সেট সেন্টার এবং আগামী অর্থ বছরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। যার মাধ্যমে বগুড়াকে স্মার্ট বগুড়া হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে শহরের শিববাটি এলাকায় দুটি প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিটিসিএল ও ডাক বিভাগের কিছু অফ ব্যবহৃত জায়গা রয়েছে। আমি আজ পরিদর্শন করলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বগুড়া জেলাবাসীর জন্য দুটি উপহার দিয়েছেন। একটি শেখ কামাল আইটি সেন্টার অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার যেটা শতকোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে একনেকে এটি অনুমোদন পাবে।
দ্বিতীয় উপহারটি হলো- জয় ডি-সেট সেন্টার যার অনুমোদন হয়ে গেছে। আশা করছি আগামী ছয় মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমরা টেন্ডারে যেতে পারব। ১৫ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয়ে চারতলার এই ভবন হবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও সরকারের সেবা কেন্দ্র।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বগুড়া উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার এবং বগুড়ার মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী একের পর এক উপহার দিয়ে চলেছেন। যার মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাইটেক পার্ক এবং বগুড়া- সিরাজগঞ্জ রেলপথ দিয়েছেন। এখন আমাদের লক্ষ্য বগুড়ায় তরুণ-তরুণীদের জন্য স্মার্ট কর্মসংস্থানের ঠিকানা শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এবং জয় ডি-সেট সেন্টার নির্মাণ করা।
তিনি বলেন, আমরা জায়গা খুঁজছিলাম কিন্তু সেভাবে পাচ্ছিলাম না। আজ বিটিসিএলের চার একর জায়গা দেখলাম। এখানে জয় ডি-সেট সেন্টার এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ হলে বগুড়ার হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে।
বগুড়ায় ডাকঘর পরিদর্শনের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বগুড়ার ডাক বিভাগকে আরও আধুনিক করা হবে। আমরা নতুন টেলিকম আইন করতে যাচ্ছি তেমনি নতুন ঢাকা ইনো করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য প্রত্যেক ডাকঘর হবে স্মার্ট ডাকঘর। এসব কিছু বাস্তবায়ন হলে বগুড়া স্মার্ট বগুড়ায় রূপান্তরিত হবে।
জমি পরিদর্শনের সময় বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।
এমআরএম