ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৩

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত পাঁচজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন। আহত সাতজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পথে একজন ও হাসপাতালে আরও একজন মারা যান।

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৩

তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে নিহতরা সবাই ফরিদপুরের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন:

পুলিশ জানায়, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মরিয়ম বেগম জাগো নিউজকে বলেন, সকালে প্রচণ্ড শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়েছে। ঘটনাস্থলেই ১১ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনসহ মোট ১৩ জন মারা যান।

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৩

তিনি আরও বলেন, এখানকার রাস্তা উঁচুনিচু। ঈদের আগের থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫-২০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে উদ্ধার করা হয। হাসপাতালে আনার পথে একজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। বাকি পাঁচজন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এন কে বি নয়ন/এনআইবি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।