চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহ থেকে স্বস্তি দিতে পানি-স্যালাইন বিতরণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ০৪:৪০ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে খাবার পানি ও স্যালাইন নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে এ বিতরণ কর্মসুচির উদ্বোধন করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটি মানুষের পিপাসা নিবারণ ও প্রশান্তির জন্য শহরের হাসান চত্বরের পুলিশ বক্স ও একাডেমি মোড়ের সারা ভবনের সামনে বোতলজাত খাবার পানি ও স্যালাইন সরবরাহ করছেন।

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহ থেকে স্বস্তি দিতে পানি-স্যালাইন বিতরণ

এ উপলক্ষে আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক কামরুজ্জামান, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক ওলিউজ্জামান, আমিরুল ইসলাম, বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, জেলার ওপর দিয়ে পক্ষকালব্যাপী অতি তীব্র তাপদাহ চলছে এতে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ও রাস্তায় চলাচলরত পথচারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অনেকের শরীরে পানি শুন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে। এর থেকে সামান্য পরিত্রাণ দিতে সংগঠনটির এ উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকরী। বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার পাশাপাশি অন্যরাও যেন এরকম উদ্যোগ নিলে মানুষ উপকৃত হবে।

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহ থেকে স্বস্তি দিতে পানি-স্যালাইন বিতরণ

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বিপুল আশরাফ তিনি বলেন, আমি সবসময় দিনমজুর, রিকশা চালক, ভ্যান চালক ও পথচারীদের এ দূর্যোগের মুহূর্তে সেবা দিয়ে যাবো। আগামীতেও বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা জনহিতকর কাজ নিয়ে মানুষের পাশে থাকবে।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আজ দুটি বুথ থেকে প্রায় দুই হাজার বোতল পানি ও এক হাজার পিস স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ওই দুটি স্হানে পানি ও স্যালাইন বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

হুসাইন মালিক/এনআইবি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।