তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়লো ২২ শিক্ষার্থী
বগুড়ায় তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষে ২২ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তড়িঘড়ি ক্লাস বন্ধ করে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জিম্মায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শহরের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফত হোসেন।
বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক শাখার একাডেমিক ইনচার্জ শাজাহান আলী জানান, দুপুর ২টা ৬ মিনিটে প্রতিদিনের মতো মাধ্যমিক শাখার শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্ন বিরতি দেওয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে তারা বিরতি শেষে শ্রেণিকক্ষে ফেরে। ওই সময় শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুৎ ছিল না। অতিরিক্ত গরমে বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার ৩০৪ নম্বর কক্ষে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর ওই কক্ষের আরও দশজনসহ পাশের সপ্তম ও নবম শ্রেণির আরও ১২ শিক্ষার্থী (ছাত্রী) অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

অসুস্থ হয়ে পড়া সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী শরিফা আক্তার বলে, শিক্ষার্থী রোজাইফার শ্বাসকষ্ট দেখে ভয় পেয়েছিলাম। আমারও মাথাঘোরা ও হাত-পা কাঁপা শুরু হয়। এখন কিছুটা ভালো লাগছে।
পায়েল চাকি নামের ষষ্ঠ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বলে, রোজাইফার পর একে একে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তা দেখে ভয় পেয়ে আমারও কেমন লাগছিল। এখন ভালো আছি।
কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা আল মামুন সরদার বলেন, সকাল থেকে একরকম ভ্যাপসা গরম ছিল। মধ্যাহ্ন বিরতিতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলা করে শ্রেণিকক্ষে ফিরলে তখন বিদ্যুৎ ছিল না।
আবহওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, শনিবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৭। একদিনের ব্যবধানে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেরে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরম দেখা দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপের কারণে তাপমাত্রা উঠানামা করছে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু বলেন, রোজাইফা নামের শিক্ষার্থী আগ থেকে অসুস্থ ছিল। গরমে খেলাধুলার পর তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বাকি শিক্ষার্থীরা ম্যাচ সাইকোলজিক্যাল ডিজিসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঘটনাটি স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে দেখে বাকি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়। এখন সবাই সুস্থ আছে।
আরএইচ/জিকেএস