যশোর

অটোরিকশাচালক হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, ২৪ মে ২০২৪

যশোরে অটোরিকশাচালক মফিজুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইকতিয়ার বিশ্বাসকে (৪৩) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (২৪মে) সকালে সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইকতিয়ার বিশ্বাস যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে।

র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অটোরিকশাচালক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইকতিয়ার গোপনে সাতক্ষীরা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করলে র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে।

২০১১ সালের ২২ জুন রাতে যশোর জেলার হামিদপুরে মফিজুর রহমান তার হেলপার নয়নকে নিয়ে পুরাতন কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড (মনিহার মোড়) থেকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ির পথে ফিরছিলেন। পথে হেলপার নয়নকে অটোরিকশা দিয়ে বাড়িতে চলে যেতে বলে তিনি ময়লাখানার সামনে নেমে যান। নয়নকে মফিজুর জানায়, ইকতিয়ারের কাছে কিছু টাকা পাবে। সে টাকা নেওয়ার জন্য ইকতিয়ার মোবাইলে তাকে ময়লাখানার সামনে ডেকেছে। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায় না। ২৪ জুন সকালে হামিদপুর ময়লাখানার পাশের একটি পুকুর থেকে মফিজুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আলামত ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামি ইকতিয়ার ও অপর একজন আসামিকে আটক করে। একে একে বেরিয়ে আসে রহস্য এবং তারা আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে উঠে আসে তাদের আরও তিন সহযোগীদের নাম। মূলত পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় মফিজুরকে। মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় হামিদপুর ময়লাখানার পেছনের একটি পুকুরে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত বিচারকার্য শেষে এ হত্যায় আসামিদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় গত ২০ মে তারিখ পাঁচজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন। এ সময় তিন আসামি আদালতে হাজির থাকলেও ইকতিয়ার ও অপর একজন আসামি পলাতক। আদালত সাজা প্রদান পূর্বক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে র‌্যাব-৬, যশোর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদ্বয়কে গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।

মিলন রহমান/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।