দিনাজপুরে কেজিতে ৮-১০ টাকা কমেছে চালের দাম
বাজারে আসতে শুরু করেছে বোরো মৌসুমের নতুন চাল। এর প্রভাব পড়েছে দামে। দিনাজপুরে চালের বাজার কমতে শুরু করেছে। সবধরনের নতুন চালে প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। অর্থাৎ কেজিতে কমেছে ৮-১০ টাকা। চালের দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
শনিবার (২৫ মে) দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় চালের মোকাম বাহাদুর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাহাদুর বাজারের পাইকারি চালের ব্যবসায়ী এরশাদ আলী ও আশরাফ আলী ছুটু জাগো নিউজকে বলেন, ১০-১৫ দিন আগেও ৫০ কেজির বস্তা জিরাশাইল (মিনিকেট) চাল বিক্রি হয়েছে ৩৫০০-৩৫৫০ টাকা, বিআর২৮ জাতের চাল ৩২০০-৩২৫০ টাকা এবং সম্পা চাল ৩৩০০ টাকায়। দাম কমে এখন জিরাশাইল (মিনিকেট) ৩ হাজার ৫০ টাকা, বিআর২৮ জাতের চাল ২৭৫০-২৮০০ টাকা এবং সম্পা চাল ২৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরেক ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ কুন্ডু বলেন, মিলার বা বাজারের দোকানদারদের কাছে পুরোনো চাল নেই। সবধরনের নতুন চালের দাম কমেছে। এতে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।
শহরের রামনগর থেকে চাল কিনতে আসা ইদ্রিস আলী জানান, তার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ছয়জন। প্রতিমাসেই চাল কিনতে হয়। গতমাসে তিনি ২৮ জাতের চাল কিনেছেন ৩২৫০ টাকা বস্তা। আজ কিনলেন ২৮০০ টাকায়।
ইদ্রিস আলী বলেন, দাম কমায় কিছুটা হলেও মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তবে চালের দাম যদি ২৪০০ টাকা বস্তা হতো তাহলে ভালো হতো।

শহরের উপশহরের বাসিন্দা সোনালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার সুলতান আলম। তিনি বলেন, ‘৫০ কেজি জিরাশাইল চাল কিনলাম। গতমাসের চেয়ে বস্তায় সাড়ে ৪০০ টাকা কমে।
খুচরা মাছবিক্রেতা মো. খলিল জাগো নিউজকে বলেন, ‘১০ দিন ধরে ২৮ জাতের চাল কেজিতে চার টাকা কমে কিনতে পারছি। এতে আমার প্রতিদিন ২০ টাকা বেচে যায়। বাজারটা আরেকটু কম হলে আমরা যারা প্রতিদিন চাল কিনে খাই তাদের জন্য ভালো হতো।’
এমদাদুল হক মিলন/এসআর/জিকেএস