দিনাজপুরে দেওয়াল লিখন মুছে গ্রাফিতি আঁকছেন শিক্ষার্থীরা
দিনাজপুরে পলিটেকনিক্যাল মোড় থেকে লিলির মোড় পর্যন্ত রাস্তায় এখনো পোড়া এবং টিয়ারশেলের ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কিছু কাজ হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। তারা ক্ষোভ থেকে লেখা বিভিন্ন স্লোগান মুছে ফেলতে শুরু করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, আন্দোলনের সময় তারাই লিখেছিলেন এসব স্লোগান, এখন মুছে দিচ্ছেন। তাদের দাবি পূরণ হয়েছে। তাই এসব লেখার এখন প্রয়োজন নেই। পলিটেকনিক্যাল মোড় থেকে লিলির মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দেওয়াল লিখন মুছে সেখানে আঁকা শুরু হয়েছে গ্রাফিতি।
বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের পলিটেকনিক্যাল মোড় থেকে লিলির মোড় ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের এমন কর্মকাণ্ড।
পলিটেকনিক্যাল মোড় থেকে লিলির মোড় পর্যন্ত রাস্তা, দেওয়ালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির গেটে তারা বিভিন্ন রঙের লেখা মুছে ফেলছেন। আঁকছেন গ্রাফিতি। যাতে স্থান পাচ্ছে আন্দোলনের বিভিন্ন চিত্র। সাধারণ মানুষও তাদের এসব কাজে উৎসাহিত করছেন।
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জানান নিসা বলেন, দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ালজুড়ে আন্দোলনে আমাদের গৌরবের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেওয়ালচিত্র আঁকব। এছাড়া দাবি পূরণ হয়েছে, এগুলো এখন দৃষ্টিকটু দেখায়। তাই আমরাই লিখেছি, আমরাই মুছে ফেলছি।
দিনাজপুর পলিটেকনিক্যালের ছাত্র মাশরাফি বলেন, অস্বীকার করব না, আন্দোলন চলার সময় এসব লেখা আমরাই লিখেছিলাম। এগুলো আর প্রয়োজন নেই, তাই নিজ দায়িত্বে এসব লেখা মুছে পরিষ্কারের কাজ করছি।
হাবিপ্রবির আরেক শিক্ষার্থী মুশরাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েরই আর্কিটেকচার বিভাগে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে কোটা আন্দোলনের সময় দেওয়ালে লিখেছিলাম। এগুলো এখন দৃষ্টিকটু ও অপরিচ্ছন্ন লাগছে। তাই আবার সেগুলো মুছে রংতুলি দিয়ে সাজিয়ে তুলছি। যাতে দেখতে সুন্দর লাগেও। আবার আমাদের গৌরবময় স্মৃতিগুলো ফুটে ওঠে।
এমদাদুল হক মিলন/এএইচ/জিকেএস