যশোরে হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের মারপিট, ওয়ার্ড বয়সহ আটক ২

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৪

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীকে বেডে হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে স্বজনদের মারপিট করেছেন হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ও বহিরাগত একটি ক্লিনিকের কর্মচারী।

এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সাধারণ শিক্ষার্থী জেসিনা মুর্শিদ ও মাসুম বিল্লাহসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী হামলাকারীদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এরপর পুলিশ তাদের আটক করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যায়।

বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনরা হলেন যশোর সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের রিপন হোসেন (৪৫) এবং তার স্ত্রী আঞ্জুমানারা বেগম (৩৫)।

হামলাকারীরা হলেন- যশোর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আসাদুজ্জামান (৫০) এবং ল্যাবস্কান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫)।

রিপন হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বুধবার ভোর ৫টার দিকে আমার মেয়েকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করি। ভেতরে বেড খালি না থাকায় ওয়ার্ডের বাইরে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ওয়ার্ডের ভেতরে বেড খালি হলে সেই বেডে মেয়েকে নেওয়ার চেষ্টা করি। এ সময় হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আসাদুজ্জামান এসে আমাদের বাধা দেন। বলেন, এই বেডে তার রোগী ওঠবে। আগে থেকে বেড ঠিক করা রয়েছে।

এ বিষয়টি নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রিপন হোসেনকে কিলঘুষি দেন হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আসাদুজ্জামান। এসময় রিপনের স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকেও মারপিট করা হয়। ওয়ার্ড বয়ের সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পুনরায় রিপন হোসেনের ওপর চড়াও হন এবং তাকে মারপিট করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই শিক্ষার্থী জেসিনা মুর্শিদ ও মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যাই। মারধরের শিকার রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে পুরো ঘটনা শুনি। এরপর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনায় জড়িত দুই হামলাকারীকে পুলিশে সোপর্দ করি। একটা হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় রোগীর স্বজনদের মারধর করবেন এবং নারীর গায়ে হাত তুলবেন এটি বড় অপরাধ। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, হাসপাতালের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ওয়ার্ড বয়কে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা বা অভিযোগ হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। আর পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিলে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালে মারামারির ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি ছাত্ররা দেখছেন। আমার কাছে এখনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।

মিলন রহমান/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।