বন্যার পানিতে একে একে ভেঙে পড়ছে মাটির ঘর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২৪
বন্যার পানিতে ভেঙে পড়ছে মাটির ঘর/ছবি-কুমিল্লার বুড়িচং এলাকার

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা। বন্যার পানিতে ভেঙে পড়ছে মাটির ঘর। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দিশেহারা অনেকেই। তবে ভেঙে যাওয়া ঘরে চাপা পড়ে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত উপজেলায় অন্তত ২০টি ঘর ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিন উপজেলার ভরাসার, ইছাপুরা, বুরবুরিয়া, খাড়াতাইয়া, শিকারপুর, কালিকাপুর, বাকশিমূল ও অজ্ঞাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, মাটির তৈরি ঘরগুলো বন্যার পানিতে নরম হয়ে ধসে পড়ছে। তবে ধসে পড়া বেশিরভাগ ঘরই খালি ছিল। গ্রামে পানির পরিমাণ বেড়ে গেলে মানুষ ঘরে ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান।

ইছাপুরা গ্রামে কথা জাহাঙ্গীর আলম বাদশা নামের একজনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বয়স ৬৫ বছর। এই বয়সে গ্রামের রাস্তাঘাট কখনো ডুবতে দেখিনি। এবারের বন্যা ইতিহাস সৃষ্টি করবে।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বন্যার পানিতে একে একে ভেঙে পড়ছে মাটির ঘর

তিনি আরও বলেন, বুড়িচংয়ে মাটির বসতি বেশি। অতিরিক্ত পানির কারণে ঘরের দেওয়াল নরম হয়ে ধসে পড়েছে।

বাকশিমূল গ্রামের আমজা হোসেন বলেন, ‘এর আগেও একবার গোমতীর বাঁধ ভেঙেছে, কিন্তু আমাদের গ্রামে পানি ওঠেনি। এবার বুকসমান পানি হয়েছে। পানিতে ডুবে ছয়টি মাটির ঘর ভেঙে গেছে।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কালিকাপুর গ্রামের সাঈদ বলেন, ‘গ্রামের দিকে ঢুকতেই পুকুরপাড়ে একটি মাটির ঘর ছিল। সেটি আজ দুপুর আড়াইটার দিকে ধসে পড়েছে। পানি বাড়ার পর ওই পরিবার আগেই আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।’

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহিদা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, মাটির ঘর ধসে পড়ার কথা শুনেছি। তবে বুড়িচংয়ে কয়টা ঘর ধসে পড়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান এখন নেই। বিকেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বুড়িচংয়ে বন্যায় একজন মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তেমন কোনো হতাহতের খবর আমার কাছে নেই।

জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।