নকলে সহায়তার অভিযোগে শিক্ষকের কারাদণ্ড
শেরপুরে নকলে সহায়তার অভিযোগে এক হাইস্কুল শিক্ষককে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার শেরপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
বাসায় বসিয়ে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র লেখানোর মামলায় শহরের জিকে পাইলট হাইস্কুলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলীর এ কারাদণ্ড হয়েছে। মামলার রায়ে লাল মিয়া নামে তার আরেক সহযোগীকেও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৯ জুন বাউবি এসএসসি পরীক্ষার্থী আয়শা খাতুনকে শহরের মাধবপুর এলাকার নিজের বাসায় বসিয়ে উত্তরপত্র লেখায় সহায়তা করেন তৎকালীন জিকে পাইলট হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী। গোপন সংবাদে বিষয়টি জানতে পেরে ডিবি পুলিশ ওই বাসায় হানা দিয়ে ওই পরীক্ষার্থী ও শিক্ষক ইয়াকুব আলীসহ ৫ জনকে হাতে-নাতে ধরে ফেলেন।
এ ঘটনায় ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিঠু মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষ পুলিশ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত একজনকে চার্জ থেকে অব্যাহতি দেয়।
১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার ওই পরীক্ষার্থীসহ দুইজনকে বেকসুর খালাস দেন। শিক্ষক ইয়াকুব আলীকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার সহযোগী লাল মিয়াকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষনা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্তরা আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি দীপক কুমার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ রায় পরীক্ষায় নকল রোধে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আসামি পক্ষের আইনজীবী নারায়ণ চন্দ্র হোড় রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।
হাকিম বাবুল/এসএস/এমএস