নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দিতে পারে: এ্যানি

নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক জাতির জন্য আরেকটি ক্রান্তিকাল হয়ে যেতে পারে ও পলাতক ফ্যাসিবাদের জন্য সুযোগ করে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেছেন। নির্বাচন দিতে হবে, তা হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন। তিনি এই দাবিই করেছেন। এই দাবি করা খুবই যৌক্তিক। দেশের সাধারণ মানুষ এই নির্বাচনের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম ও লড়াই করেছে। সরকারে যারা আছেন তাদের শোনার মনমানসিকতা থাকতে হবে। কথাগুলো যদি না শোনেন, উপলব্ধি যদি না করেন এবং যদি বিএনপি মহাসচিব সম্পর্কে একটা কাউন্টার তৈরি হয়, এটা কিন্তু ঠিক হবে না। এটা জাতির জন্য আরেকটি ক্রান্তিকাল হয়ে যেতে পারে। কারণ এ বিতর্ক পলাতক ফ্যাসিবাদের জন্য একটা সুযোগ করে দিতে পারে। এই সুযোগ দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এ প্রজন্ম ও দেশবাসীর জন্য একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশে স্বাভাবিক সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। লক্ষ্যটি হচ্ছে একটি সুন্দর বাংলাদেশ আমরা গড়বো। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকার ও আমরা বাইরে যারা আছি নির্বাচনকে নিয়ে সবাইকে ঐক্যমতে পৌঁছতে হবে। এটি দীর্ঘদিনের ডিমান্ড।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। পলাতক ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দেবো, এ ধরণের বিতর্ক আর যেন না হয়। এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকলকে অনুরোধ করবো, রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি করতে হবে। গোলটেবিল আলোচনা হোক। এই সুযোগ আপনাদেরকেই তৈরি করতে হবে। যৌক্তিক সময়ে যুগোপযোগী নির্বাচন দিতে হবে। তা হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এ্যানী বলেন, ১৫-১৬ বছর আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম ছিল। সবশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আমরা দেশে স্বাভাবিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি। এ সরকারকে আমরা পুরোপুরি সহযোগিতা করছি এবং করবো। সরকারের কাছে আমাদের অনেক বেশি প্রত্যাশা ও দাবি আছে। সবগুলো যে তারা মানতে পারবেন, তা আমরা মনে করি না। কিছু যৌক্তিক দাবি আছে, সেটা তারা চেষ্টা করবেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুব আলম মামুনের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক খোদেজা খাতুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসময় সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিদার হোসেন, বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন ফারুক, জমির উদ্দিন চৌধুরী সঞ্জু, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সাইফুদ্দিন চৌধুরী মঞ্জু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা কৃষক দলের সহ-সভাপতি বদরুল ইসলাম শ্যামল, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক হাছিবুর রহমান অভি ও সদস্যসচিব মাইনুল হাসান শাওন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাজল কায়েস/এফএ/জেআইএম