আহসান খান চৌধুরী

নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রিডে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত থামবো না

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫২ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৫
প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী

নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিকাশে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল বড় বিনিয়োগ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি জাতীয় গ্রিডে অন্তর্ভুক্ত করতে বারবার সরকারের কাছে ধরনা দেবো। জাতীয় গ্রিডে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত থামবো না।’

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সাসটেইনেবল সামিট ২০২৫’ এর প্রথম সেশনে প্যানেল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। যৌথভাবে এ সামিটের আয়োজন করে আকিজ বশির গ্রুপ, এসএমসি ও বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রিডে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত থামবো না

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন রিটেইল চেইন সুপারশপ স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির, সোশ্যাল মার্কেটিং এন্টারপ্রাইজের এমডি সায়েফ নাসের ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

আলোচনা সঞ্চালনা করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাব উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান। আলোচকরা বিনিয়োগকারীদের টেকসই ও নৈতিক বিনিয়োগ পদ্ধতি বা ইসএসজি বাস্তবায়নে সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রিডে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত থামবো না

বিদ্যুতের নতুন ব্যবসায়িক মডেল বা মার্চেন্ট পাওয়ার পলিসির প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মৌলভীবাজারে নবায়নযোগ্য সোলার এনার্জির প্রকল্প করছি। এটা হয়তো দেশের সবচেয়ে বড় নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রকল্প হবে। ওপরে সোলার প্যানেল হবে, নিচে মাছ চাষ হবে। আমরা সরকারকে মার্চেন্ট পলিসি দিয়েছি। মার্চেন্ট পাওয়ার পলিসি বাংলাদেশে ছিল না। তবে আমরা পিছু হটিনি। আমরা বলিনি যে আমরা কানাডায় গিয়ে মার্চেন্ট পাওয়ার পলিসি করবো। আমরা বলবো পৃথিবীর সব জায়গায়, থাইল্যান্ডে বা ভিয়েতনামে মার্চেন্ট পাওয়ার পলিসি থাকে, বাংলাদেশেও এটি থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের টেকসই ও নৈতিক বিনিয়োগ পদ্ধতি বা ইএসজি বাস্তবায়নে কোনো কিছুর অভাব নেই। কেবল ইচ্ছা শক্তির প্রয়োজন। এটি বাস্তবায়নে যা যা করা প্রয়োজন আমরা করবো।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রিডে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত থামবো না

ক্রেতাদের উদ্দেশে আহসান খান চৌধুরী বলেন, টেকসই বিনিয়োগ বা ইএসজির ক্ষেত্রে আমাদের যদি কোনো ত্রুটি খুঁজে পান তাহলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান। আমাদের গঠনমূলক পরামর্শ দিতে পারেন। যত বেশি আপনাদের যৌক্তিক সমালোচনা শুনবো, তত আমরা ভালো করতে পারবো। ইএসজিতে ভালো করতে হলে সরকারের সঙ্গে করপোরেটের সঙ্গে ভালো করতে হবে। সরকারের সঙ্গে আরও বেশি আলোচনা করতে হবে। সরকার অনেক সময় আমাদের ওপর অযৌক্তিক দাবি চাপিয়ে দেয়। সরকারকে আমাদের বিষয়গুলোও জানাতে হবে। আমরা কী করছি তা জানানোর জন্য প্রয়োজনে আমরা এগিয়ে যাবো।

স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ইএসজি বাস্তবায়নে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। পাটের ব্যাগ ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এর খরচ ক্রেতা দিতে পারবে না। আবার পাটের ব্যাগের স্বল্পতা আছে। স্বপ্নেরই কেবল প্রতিদিন লাখের বেশি পাটের ব্যাগ লাগে।

এসএম/এমএএইচ/এমএফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।