মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে প্লাস্টিক মেলা


প্রকাশিত: ০৬:৪২ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৫

দেশে ও বিদেশে প্লাস্টিক পণ্যের সহজ ব্যবহার, পরিচিতি ও গ্রাহক চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে দশম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্লাস্টিক পণ্যের মেলা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে চারদিন ব্যাপী এই মেলা। চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন ১২টায় শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। থাকছে না কোন প্রবেশ মূল্যও।

মেলার আয়োজক বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) পক্ষে রোববার সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশি প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে এর ব্যবহার বাড়ছে। এই চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়েই মেলার আয়োজন। প্লাস্টিক পণ্যের ভোক্তা বাড়ছে। দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিও হচ্ছে। মেলায় দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে মোট ৩৫০টি স্টল থাকবে।

তিনি আরো বলেন, মেলায় কোন প্রবেশ মূল্য রাখা হয়নি। যাতে দশনার্থীরা বিনা খরচে আসতে পারেন।
 
আয়োজকরা বলছেন, মেলায় ১৫টি ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গৃহস্থালি সামগ্রিসহ প্যাকেজিং সামগ্রি, প্লাস্টিকের খেলনা, ওষুদ সামগ্রি, প্লাস্টিকের আসবাব পত্র রয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে গড়ে প্লাস্টিক পণ্যের মাথাপিছু ব্যবহার ৭ কেজি। যুক্তরাষ্ট্রে মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার ১০০ কেজি, সিঙ্গাপুরে ১৩ কেজি। কিন্তু বাংলাদেশে প্লাস্টক উৎপাদন নিয়ে সমালোচনা হয়। কিন্তু এটি পরিবেশ বান্ধব। অনেকে পাটের সঙ্গে প্লাস্টিক পণ্যকে প্রতিযোগী হিসেবে মনে করেন। কিন্তু পাটের বিকল্প প্লাস্টিক নয়। জীবন যাপনের মান বাড়লে প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়বেই।

মেলায় ৮টি দেশের ২২০ প্রতিষ্ঠানের ৩৫০টি স্টল থাকবে। অংগ্রহণকারী দেশগুলো হলো: চীন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, দ:কোরিয়া, বাংলাদেশ ভারত, সিঙ্গাপুর ও ইতালি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাবেক সভাপতি মো. ইউসুফ আশরাফ, সহ সভাপতি কেএম ইকবাল হোসেনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএ/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।