জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবে কমবে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি


প্রকাশিত: ০৮:১৯ এএম, ১৯ আগস্ট ২০১৪

বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি গড়ে ২ শতাংশ করে কম হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়া চলতি শতাব্দী শেষে এই ক্ষতি হতে পারে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ করে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এডিবির প্রকাশিত জলবায়ু এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার ৬টি দেশের ( বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলংকা) নাম উল্লেখ করে বলা হয়, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব অব্যাহত থাকলে এখানে ২০৫০ সাল পর্যন্ত সময়ে গড়ে জিডিপিতে ১ দশমিক ৮ শতাংশ হারে ক্ষতি হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা না করা হলে ২১০০ সাল নাগাদ জিডিপিতে এই ক্ষতির পরিমাণ ৮ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। আর এই শতাব্দীতে সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনে মালদ্বীপ ও নেপাল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। চলতি শতাব্দী শেষে দেশ দুটির অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ১২ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। এই ক্ষতি বাংলাদেশের ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, ভারতের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ, ভুটানের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং শ্রীলংকার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ধারা আরও প্রকট হলে চলতি শতাব্দী শেষে জিডিপিতে ক্ষতির পরিমাণ ৯ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। প্রভাব মোকাবেলায় বৈশ্বিক কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে এই ক্ষতি ২ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছে এডিবি।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিন্দু এন লোহানি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু,পরিবেশবিদ মাহফুজউদ্দিন আহমেদ, এডিবির বাংলাদেশ মিশনের পরিচালক কাজুহিকো হিগুসি প্রমুখ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।