ভারতে রফতানি বাড়াতে প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ : সিপিডি


প্রকাশিত: ১০:০৮ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি বৃদ্ধিতে প্রয়োজন দু’দেশের সঙ্গে পারস্পারিক সমঝোতা বাড়ানো বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী, রফতানিকারক ও এ খাতের সংশ্লিষ্ঠরা। শনিবার মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের শুল্ক বহিভূত বাধা বিষয়ক এক আলোচনায় সভায় এ দাবি করেন তারা।

সভায় মূল প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো খালেদা আক্তার। এ সময় বক্তারা বলেন, ভারতের নতুন নতুন আইনের কারণে আমাদের পণ্য রফতানি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ভারতের দূষণমুক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্স অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এফএসএসএআই) কয়েকটি নতুন আইন করেছে। আইন অনুযায়ী প্যাকেটের গায়ে এফএসএসএআই এর লোগো প্রিন্ট করে দিতে হবে এবং লাইসেন্স নাম্বার দিতে হবে। এসব নতুন আইন করেছে। যা সম্পর্কে আমাদের তেমন কোনো ধারণা নেই। এমনকি নতুন আইন সম্পের্কে তাদের আমদানিকারকদেরও ভালো ধারণা নেই। এসব কারণে ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি করতে সমস্যা হচ্ছে। আর এসব সমস্যা সমাধানে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করা প্রয়োজন।

তারা বলেন, ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহতম বাণিজ্য সহকারী দেশ। ভারতে সম্প্রসারণশীল বাজারে আমরা রফতানি বৃদ্ধি করা শুরু করেছি। গত একদশকে রফতানি বৃদ্ধি করেছি পাঁচ গুণ। এই রফতানি বাড়ানোর আরও সুযোগ আছে। ভারতের রফতানির এক পঞ্চমাংশ তৈরি পোশাক বাকি কৃষি ও ভারতের মোট আমদানির এক শতাংশের ১০ ভাগের এক ভাগ। ভারত বাংলাদেশকে রফতানি বৈচিত্র করণ শুধু নয় পণ্য বৈচিত্রের সুযোগ দিয়েছে। তা আমাদের গ্রহণ করতে হবে। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালী করণের দিক যেমন বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা বাড়ানো। আমাদের সরকারের চলমান উদ্যোগগুলো রফতানিকারকদের জানাতে হবে। একই সঙ্গে রফতানিকারকদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।

বক্তারা আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো যাতে করে আমাদের পণ্য ভারত এবং ভারতের পণ্য আমরা গ্রহণ করতে পারি। দ্বিপাক্ষিক অথবা সার্কের মাধ্যমে চুক্তির করতে পারি। এতে করে আমাদের বাণিজ্যের বাধা গুলো সহজে সমাধান করতে পারবো। আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এতে করে ভারতের বাজারে আমাদের কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রফতানি বাড়াতে পারবো। এছাড়াও অনেক সময় বিভিন্ন পণ্যের মান সরকারি ভাবে গ্রহণ করলেও সিমান্তে ভারতের কাস্টম কর্তৃপক্ষ তা মানতে চান না। সেটার জন্য দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা প্রয়োজন।

এমআই/আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।