করোনা: খেলাপি ঋণের তথ্য পাঠানোর সময় বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০

ব্যাংকগুলোকে প্রতি তিন মাস পর পর ঋণ শ্রেণীকরণের বিববরণী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হয়। সাধারণ ছুটিতে সীমিত আকারে ব্যাংক লেনদেন হলেও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ কারণে খেলাপি ঋণের তথ্য পাঠানোর সময় বাড়ানো হয়েছে।

সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ঋণ শ্রেণীকরণ এবং প্রভিশন সংক্রান্ত বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, ব্যাংকগুলোকে প্রতি ত্রৈমাসিকে ঋণ শ্রেণীকরণের বিববরণী পরবর্তী মাসের শেষ কর্মদিবসের মধ্য পাঠাতে হয়। সে অনুযায়ী মার্সের বিবরণী আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পাঠানোর কথা। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রোধে দেশে এখন সাধারণ ছুটি চলছে চলমান সাধারণ ছুটির সময় গ্রাহকের সুবিধার্থে ব্যাংকগুলোকে সীমিত আকারে চালু রয়েছে। তবে এ সময় ব্যাংকের অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ত্রৈমাসিকে ঋণ শ্রেণীকরণের তথ্য পাঠানোর সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ঋণ শ্রেণীকরণ এবং প্রভিশন সংক্রান্ত বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে পারবো বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

দেশে কার্যরত সকল তফসিলী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। তবে সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী এ সময়ে ব্যাংকগুলোর সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই পরিস্থিতিতে, ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে তফসিলি ব্যাংক সমূহ নিয়ম অনুযায়ী ঋণ শ্রেণীকরণ বা খেলাপি ঋণ ও প্রভিশন সংক্রান্ত বিবরণী পাঠাতে পারছে না। তাই সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এসব তথ্য উল্লেখিত বিভাগে দাখিল করতে হবে। অবিলম্বে এই নির্দেশনা কার্যকর করা হবে।

এসআই/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।