বাণিজ্যমেলায় শেষ সময়ে কোট-ব্লেজারে অফারের ছড়াছড়ি

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৫:৪১ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মাত্র চারদিন বাকি। শেষ সময়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। ছুটির দিনে মেলায় ভিড় বেড়েছে। ঢল নেমেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের। মেলার শেষ সময়ে বিভিন্ন স্টলে চলছে অফারের ছড়াছড়ি। তবে কোট ও ব্লেজারের স্টলে চলছে বিশেষ ছাড়। এতে কোট-ব্লেজারের স্টলগুলোতে ভিড়ও বেশি।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্যমেলায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। মেলায় কোট-ব্লেজারের যে কটি স্টল রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম চয়েজ ফ্যাশনের স্টল। এ স্টলে সব ধরনের পোশাকে চলছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।

আরও পড়ুন>> বাণিজ্যমেলায় খাবারপ্রেমীদের পছন্দের শীর্ষে ‘ঝটপট’ স্টল

এর মধ্যে বিশেষ ছাড়ে বড়দের ব্লেজার এক হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। শিশুদের কমপ্লিট স্যুট এক হাজার এবং মুজিব কোট এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

ভাগনার জন্য কমপ্লিট স্যুট কিনেছেন তানভীর আহমেদ জনি নামে এক যুবক। ছাড়ে কম দামে পোশাক কিনতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। জনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতি বছরই বাণিজ্যমেলায় কেনাকাটা করতে আসি। এ বছর মেলায় আসায় হয়নি। শেষ সময়ে এসেছি। ছুটির দিনে ব্যাপক ভিড় দেখছি। এখানে (চয়েজ ফ্যাশনের স্টল) এসে দেখলাম ছাড় চলছে। দাম কম পেয়ে ভাগনার জন্য একটা কমপ্লিট স্যুট কিনে নিলাম।’

আরও পড়ুন>> বাণিজ্যমেলায় বিজলী ক্যাবলসে চলছে ছাড়

তাহসিন আহমেদ তূর্য্য নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘এখানকার (চয়েজ ফ্যাশনের স্টল) ব্লেজারগুলোর ডিজাইন বেশ পছন্দ হয়েছে। এজন্য একটা ব্লেজার কিনলাম।’ তাহসিনের বাসা রূপগঞ্জের বরপায় এলাকায়। মেলার শেষ দিক হওয়া কেনাকাটা করতেই মূলত তিনি এসেছেন বলে জানালেন। তিনি বলেন, ‘মেলার শুরুর দিকে পণ্যের দাম বেশি ছিল। শেষের দিকে অনেক বেশি ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য এসময়ে কেনাকাটা করতেই এসেছি।’

চয়েজ ফ্যাশন স্টলের ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত চারবার বাণিজ্যমেলায় স্টল নিয়েছি। তবে এ বছর ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। গতবারের তুলনায় এবার ক্রেতা বেশি। বাণিজ্যমেলার শেষ সময়ে ক্রেতাদের জন্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছি। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে আমাদের শো-রুম।’

আরও পড়ুন>> বাণিজ্যমেলায় ১০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে আরএফএলের দরজা

বাণিজ্যমেলায় এবার ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২ দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গতবার এ সংখ্যা ছিল ২২৫টি।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে বাণিজ্যমেলা। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চালু থাকছে। এবার মেলায় প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। অনলাইনে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেলার টিকিটও কেনা যাচ্ছে।

রাশেদুল ইসলাম রাজু/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।