ভোগ্যপণ্যে উৎসে কর প্রত্যাহার চায় এমসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ০১ মার্চ ২০২৩

চাল, ভোজ্যতেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সব ধরনের ফলে সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। পাশাপাশি রাজস্ব আদায় ডিজিটালাইজেশনসহ আয়কর, শুল্ক ও মূসক হার পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

বুধবার (১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক বাজেট আলোচনায় এমন সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এসব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

এনবিআরের পক্ষ থেকে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, ভ্যাট নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাজেট প্রস্তাবে এমসিসিআই জানায়, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৫২ ধারার ১৬ ১(বি) বিধি অনুসারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যসামগ্রী যেমন- চাল, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, ছোলা, বুট, ডাল, হলুদ, মরিচ, ভুট্টা, আটা, ময়দা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনি, সব ধরনের ফল ইত্যাদির সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর ২ শতাংশ হারে কর্তনের বিধান রয়েছে।

সংগঠনটি বলছে, কৃষিজাত পণ্য মূলত ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে কেনা হয়। ফলে তাদের কাছ থেকে উৎসে কর কর্তন করা সরকারের রাজস্ব প্রক্রিয়াগতভাবে একটি অসম্ভব কাজ। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যে করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রক্রিয়াগত জটিলতা ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। এক্ষেত্রে সব ধরনের কৃষিজাত নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতা বহির্ভূত রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।

সাইফুল ইসলাম বলেন, এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের অধিকাংশ সদস্যই এমসিসিআইয়ের সদস্য। সামগ্রিক জাতীয় রাজস্বের প্রায় ৪০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি আসে এমসিসিআইর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ৪০ লাখ কর্মী রয়েছে, যাদের বয়স ১৫ থেকে ৬০ বছর এবং যারা শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত নয়। বৃহৎ এই জনগোষ্ঠীকে শ্রমবাজারে নিয়ে আসা খুবই জরুরি।

এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় শিল্পের বিকাশ খুবই জরুরি। স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তারা স্থানীয় পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করছেন, অন্যদিকে কর্মস্থান বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আয়কর হার, মূসক ব্যবস্থাপনা, শিল্প যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানির শুল্কহার, সম্পূরক শুল্কহার যথাযথভাবে বিবেচনা করে স্থানীয় শিল্প সম্প্রসারণে এনবিআর ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এমসিসিআই সভাপতি।

এসএম/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।