ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র
বুধবার থেকে ডিমের ডজন ১১০, ড্রেসড মুরগি ৩০০ টাকা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১ রমজান থেকে রাজধানীতে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২৮ রমজান পর্যন্ত। তবে, বাজারে দাম কমায় রোজার পঞ্চমদিনে এসে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রেও ডিম ও ড্রেসড ব্রয়লার (চামড়া ছাড়া) মুরগির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসব পণ্য সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে বাজারে এসব পণ্যের দাম কমার বিষয়টি উঠে এসেছে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে ডিম ও ড্রেসড ব্রয়লার মুরগির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতে জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন।
আরও পড়ুন>> সুলভমূল্যে দুধ-ডিম-মাংস পেয়ে খুশি ক্রেতারা
ইফতেখার হোসেন বলেন, বাজারে দাম কিছুটা কমায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রেও দামের ক্ষেত্রে কিছুটা সামঞ্জস্য আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ডিমের ডজনপ্রতি দাম ১২০ টাকার পরিববর্তে ১১০ টাকা এবং ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি ৩৪০ টাকার পরবিবর্তে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) থেকে নতুন দামে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
রাজধানীর নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি, খামারবাড়ি, আজিমপুর মাতৃসদন, গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি, ৬০ ফুট রোড, খিলগাঁও (রেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আবদুল গণি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ, রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বছিলা, হাজারীবাগ (সেকশন), লুকাস মোড় (নাখালপাড়া), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা) এবং কামরাঙ্গীর চর এলাকায় সুলভমূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>> সুলভমূল্যে দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি: দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে
নতুন দাম অনুযায়ী এখন থেকে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম ডজন ১১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ ও মূল্যস্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
আইএইচআর/এমএএইচ/