চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয় বাড়াতে ৯৩৩ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২৩

চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় বাড়াতে ৯৩৩ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস’ প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে হবে এ বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেটের রেলপথ সংস্কারে ১৮৪ কোটি দেবে এডিবি

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, দ্বিতীয় সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে এক হাজার ১০৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে ৯৩৩ কোটি টাকা, বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে মেটানো হবে।

মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাই হতে ২০২৩ সালের জুন নাগাদ বাস্তবায়নের কথা ছিল। তবে এখন মেয়াদ বাড়ছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য

লক্ষ্যযুক্ত খাতে রপ্তানি বৃদ্ধি করা, বিশেষ করে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য যেমন- পাদুকা, হালকা প্রকৌশল প্লাস্টিক, এছাড়া সুবিধাভোগী সংস্থাগুলোতে নতুন উৎপাদন তৈরি করা।

প্রধান কার্যক্রম

সংশোধিত প্রস্তাবনায় এ প্রকল্পের আওতায় দুটি কম্পোনেন্ট প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সংযোগ সড়ক উন্নয়নে ২৮৮৬ কোটি টাকার ঋণ

কম্পোনেন্ট-১: মার্কেট অ্যাকসেস সাপোর্ট প্রোগ্রাম, এনভায়রনমেন্ট সোশ্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটি সহায়িকা তৈরি ও সচেতনতা বৃদ্ধি। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, প্লাস্টিক এবং হালকা প্রকৌশল খাতের কারখানা পর্যায়ে কমপ্লায়েন্স এসেসমেন্ট করা। শিল্পখাতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে কমপ্লায়েন্স ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া। এক্সপোর্ট রেডিনেস ফান্ডের কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত চারটি সেক্টরের ১১০টি কারখানার মানোন্নয়নে ও কমপ্লায়েন্স অর্জনে বিনিয়োগ সহায়তা করা। মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ও মার্কেট লিংকেজ কার্যক্রম এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে ব্রান্ডিং ও সোর্সিং শো আয়োজন।

আরও পড়ুন: দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ অনুসন্ধান কোন পথে?

কম্পোনেন্ট-২: এর আওতায় দুটি টেকনোলজি সেন্টার প্রতিষ্ঠাকরণ, টেকনোলজি সেন্টারের নির্মাণের জন্য ৩০ দশমিক ২০ একর জমি অধিগ্রহণ, চারটি টেকনোলজি সেন্টারের ডিজাইন-ড্রইং সম্পন্ন করা, দুটি টেকনোলজি সেন্টারের মূল ভবন, হোস্টেল, ডরমিটরি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। টেকনোলজি রোড ম্যাপ প্রস্তুত, প্রয়োজনীয় টেকনোলজি ও মেশিনারিজ টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন, টেন্ডার ডকুমেন্ট চূড়ান্ত করা, দুটি টেকনোলজি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কাঠামো চূড়ান্ত করা।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ

মার্কিন ডলারের বিনিময় হার পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক টেন্ডার প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার পর অনুমোদিত প্রকল্পের সংস্থান অপেক্ষা অতিরিক্ত ব্যয় প্রাক্কলন, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক অতিমারিজনিত সংক্রমণ ও বিধি নিষেধের কারণে ২০২০ থেকে শিল্প কারখানা পর্যায়ের বিভিন্ন কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়া। বিদ্যমান বিভিন্ন খাতের ব্যয় পরিবর্তন, খাত অন্তর্ভুক্তি বা বাদ, সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সুপারিশের আলোকে চারটি টেকনোলজি সেন্টারের জন্য ২২ একর জমির পরিবর্তে ৩০ দশমিক ২০ একর জমি লিজ বা অধিগ্রহণ বাবদ ৬ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি এবং একটি টেকনোলজি সেন্টারের স্থান পরিবর্তন।

পরিকল্পনা কমিশনের মতামত

রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির জন্য চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি এবং রপ্তানি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশের পথে যে সব সমস্যা রয়েছে তা দূরীকরণে প্রকল্পটি ভূমিকা পালন করবে।

এমওএস/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।