বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে ওইসিডি ও এডিবি প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫২ এএম, ২২ মে ২০২৩

অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এবং এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে। রোববার (২১ মে) ঢাকায় বিজিএমইএ পরিদর্শন এবং বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন এ প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন ওইসিডি ডিএএফ ইনভেস্টমেন্ট ইউনিটের ইকোনমিস্ট (পলিসি অ্যানালিস্ট) ফার্নান্দো মিস্টুরা, ওইসিডি ডিএএফ ইনভেস্টমেন্ট ইউনিটের পলিসি অ্যানালিস্ট আইরিস ম্যানটোভানি, ওইসিডি আরবিসি সেন্টারের পলিসি অ্যানালিস্ট সেবাস্টিয়ান ওয়েবার, ওইসিডি আরবিসি সেন্টারে সিনিয়র পলিসি অ্যানালিস্ট ম্যাথিয়াস অল্টম্যান, এডিবির সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যান হং, এডিবির সিনিয়র ইকোনমিক অফিসার মাহবুব রব্বানী এবং এডিবি কনসালটেন্ট মাসরুর রিয়াজ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ এর সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান।

তারা পোশাক শিল্প ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এফডিআই (বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগ) এর ভূমিকাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি এবং ২০২৬ সালে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তোরণের পর অর্থনৈতিক প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা রপ্তানির আরও বৈচিত্র্যকরণ এবং পোশাক শিল্পের ভেতরে এবং বাইরে এফডিআই আকর্ষণের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন। আলোচনায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ডিউ ডিলিজেন্স শর্তগুলোর প্রভাবও গুরুত্ব পেয়েছে।

তারা বাংলাদেশে ওইসিডি বিনিয়োগ নীতি পর্যালোচনার বিষয়েও কথা বলেন। পর্যালোচনাটি দেশে স্থানীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ বিষয়ে মূল্যায়ন করবে এবং বিনিয়োগের কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করবে। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা তৈরি পোশাক শিল্পের মুখপাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিজিএমইএ পর্যালোচনাটি রচনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শক অংশীদারের ভূমিকা পালন করেছে।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, শিল্পের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা ও সুযোগগুলো তুলে ধরেন। তিনি প্রতিনিধিদলকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিল্পের রূপকল্প এবং প্রস্তুতি, বিশেষ করে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, প্রযুক্তির মানোন্নয়ন ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পের প্রস্তুতি গ্রহণ বিষয়ে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উচ্চমূল্যের পোশাকের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে এবং উচ্চ মূল্য সংযোজন ও নন-কটন টেক্সটাইলের মতো বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং ডিউ ডিলিজেন্স প্রতিপালনের ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছে।

ওইসিডি-এডিবি প্রতিনিধিদল কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, এ অর্জনগুলো অন্যান্য শিল্প খাতের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তারা অন্যান্য খাতগুলো যাতে করে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পোশাক শিল্পের মডেল অনুসরণ করতে পারে, সেজন্য বিজিএমইএকে সহযোগিতা প্রদানের আহবান করে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, শিল্প ও বিজিএমইএ এর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে বিজিএমইএ অন্যান্য খাতগুলোকে সহযোগিতা প্রদান করতে সদা প্রস্তুত রয়েছে।

ইএআর/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।