বিমার ঢালাও দরপতন, পথ হারালো শেয়ারবাজার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ২৯ মে ২০২৩
ফাইল ছবি

বিমা কোম্পানির ওপর ভর করে গত কয়েকদিন শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও সোমবার (২৯ মে) বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম ঢালাওভাবে কমেছে। এতে সার্বিক শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক কমেছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে।

দিনের লেনদেন শেষে সবকটি সূচকের পতন হলেও একই দিন লেনদেনের শুরুর চিত্র ছিলো ভিন্ন। গত কয়েক কার্যদিবসের মতো লেনদেনের শুরুতেই বিমাসহ অন্যান্য খাতের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়ে যায়। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম দুই ঘণ্টা অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুপুর ১২টার পর থেকে এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা বিমা কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায়। ফলে একের পর এক বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম কমতে থাকে। যার প্রভাব গিয়ে পড়ে অন্য খাতের ওপরও।

লেনদনের শেষ আধাঘণ্টায় এসে দরপতনের প্রবণতা আরও বড় হয়। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে পতন হয় সবকটি মূল্য সূচকের। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে ১১১টির দাম কমেছে। আর ১৯৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৫টির শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৯টির।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মূল্য সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। তবে ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বসুন্ধরা পেপারের ২৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের।

এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ইউনিক হোটেল, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, আমরা নেটওয়ার্ক এবং সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৪টির এবং ১০৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

এমএএস/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।