বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষে ন্যাশনাল টি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৯ পিএম, ১০ জুন ২০২৩

গত সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক কমেছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৬৯টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৪টির।

দাম কমার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান থাকলেও সব থেকে বেশি কমেছে ন্যাশনাল টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দাম কমার শীর্ষস্থান দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৮৫ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৪৭ টাকা ৪০ পয়সা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে যা ছিল ৫৩২ টাকা ৪০ পয়সা।

এই দরপতনের আগে অর্ধ মাস ধরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ে। গত ১৫ মে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৫১ টাকা ৩০ পয়সা। এরপর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। দফায় দফায় বেড়ে প্রতিটি শেয়ারের দাম ৫৭৪ টাকা ১০ পয়সায় পর্যন্ত ওঠে। এর পর এখন কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমতে দেখা যাচ্ছে।

শেয়ারের দামে এমন উত্থান-পতন হওয়া কোম্পানিট সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

১৯৭৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার সংখ্যা ৬৬ লাখ। এর মধ্যে ৪৪ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সরকারের কাছে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার আছে।

দাম কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ২৯ হাজার টাকা। প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ১৬ লাখ ৫ হাজার টাকা।

ন্যশনাল টি’র পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। ১৫ দশমিক ১৭ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক।

গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ দাম কমেছে। এছাড়া ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ দাম কমেছে। বাংলাদেশ ওয়েল্ডিংয়ের ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ দাম কমেছে।

এমএএস/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।