২ বিমার শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম, কারণ জানে না কোম্পানি কর্তৃপক্ষ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১৪ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। আর ১৩ কার্যদিবসে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশের ওপরে। প্রতিষ্ঠান দুটির শেয়ারের এ দাম বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে কোম্পানি দুটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সম্প্রতি শেয়ারের যে দাম বেড়েছে তার কারণ তাদের জানা নেই। কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলেও জানিয়েছে কোম্পানি দুটির কর্তৃপক্ষ।

এ জন্য বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি দুটির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিএসই থেকে জানানো হয়েছে- ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের এবং কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দাম বাড়ার পিছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানি দুটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণ জানাতে ডিএসই থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। জবাবে দুটি কোম্পানির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সম্প্রতি শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে এবং লেনদেন বেড়েছে তার জন্য কোন অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২৯ আগস্ট কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩৮ টাকা ৩০ পয়সা। সেখান থেকে বেড়ে প্রতিটি শেয়ার দাম ৫৫ টাকা ৯০ পয়সা উঠে। এমন দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে ডিএসই থেকে সতর্ক বার্তা এসেছে।

শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার আগে ২০২১ সালে ১০ শতাংশ, ২০২০ সালে ১১ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৪৫ লাখ। এর মধ্যে ৪৮ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর ৩০ দশমিক ৯৮ শতাংশ আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।

কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৩০ আগস্ট কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩০ টাকা ৭০ পয়সা। সেখান থেকে বেড়ে প্রতিটি শেয়ার দাম ৪১ টাকা ১০ পয়সা উঠে। এমন দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে ডিএসই থেকে সতর্ক বার্তা এসেছে।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার আগে ২০২১ সালে ১২ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১৪টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৫২ দশমিক ১২ শতাংশ। আর ১২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ আছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।

এমএএস/এসটি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।