সিএমএসএমই-ভোক্তা ঋণ

সুপারভিশন চার্জের নামে কেটে নেওয়া এক শতাংশ টাকা ফেরত দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সিএমএসএমই খাত ও ভোক্তা ঋণ সীমার ওপর এক শতাংশ হারে সুপারভিশন চার্জ কর্তন করা হচ্ছে। সুপারভিশন চার্জের নামে কেটে নেওয়া এক শতাংশ টাকা ফেরত না দেওয়া হলে বৃহৎ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এ টাকা ফেরত না দিলে মাঠে নামার কথাও বলেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দোকান মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব জহিরুল হক ভূইয়া, বাংলাদেশ হাউজ অ্যান্ড ফ্ল্যাট অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাইয়ুম তালুকদাম মনি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ পোশাক প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন মানিক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এখন মন্দাবস্থার মধ্যে সিএমএসএমই খাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। ব্যবসায়ীক দুর্যোগময় মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত করে। পরিকল্পনামন্ত্রী সুদহার আরেক দফা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৯ জুন বিআরপিডি সার্কুলার নং-৯ জারি করে। এতে বলা হয়, সিএমএসএমই ঋণ এবং ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে উল্লেখিত সুদ হারের অতিরিক্ত সর্বোচ্চ এক শতাংশ সুপারভিশন চার্জ বছরে একবার আদায় করা যাবে। বার্ষিক ভিত্তিতে আরোপিত এ সুপারভিশন চার্জের উপর চক্রবৃদ্ধি হারে কোনো চার্জ আরোপ করা যাবে না। তবে কোন ঋণ হিসাবে বছরের মধ্যবর্তী সময়ে সমন্বিত করার ক্ষেত্রে এক শতাংশ হারে আনুপাতিক সময়ের জন্য সুপারভিশন চার্জ আদায় করা যাবে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারের মাধ্যমে সিএমএসএমই খাত ও ভোক্তা ঋণ সীমার ওপর এক শতাংশ হারে সুপারভিশন চার্জ কর্তন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ঋণ গ্রহীতার অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা কর্তন হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে ব্যবসায়ীরা ঋণ খেলাপি হবেন, ধ্বংসের মুখোমুখি হবেন তারা। মারাত্মক অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে।

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর আমরা সমিতির পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। চিঠিতে সার্কুলারটি প্রত্যাহার করে কর্তনকৃত টাকা ব্যবসায়ীদের অ্যাকাউন্টে ফেরত দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আমরা উক্ত সার্কুলার প্রত্যাহার করে কর্তনকৃত টাকা আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে স্ব স্ব অ্যাকাউন্টে ফেরত দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় সিএমএসএমই খাতের ব্যবসায়ীরা জীবন জীবিকার স্বার্থে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

ইএআর/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।