ময়মনসিংহ

কেওয়াটখালীতে স্টিল আর্চ সেতু নির্মাণে চুক্তি সই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ময়মনসিংহে কেওয়াটখালী সেতু নির্মাণে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর উপস্থিতিতে পূর্তকাজের প্যাকেজের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন ও বাংলাদেশের স্প্রেক্টা ইঞ্জিনিয়ার্সের মধ্যে চুক্তি সই হয়।

প্রায় দুই হাজার ১৩৭ কোটি টাকার চুক্তিপত্রে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষে ময়মনসিংহে কেওয়াটখালি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নূর-ই-আলম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ সুইয়ান চুক্তি সই করেন।

চুক্তির আওতায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ৩২০ মিটার দীর্ঘ স্টিল আর্চসহ ১১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু, ৬৭০.৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩টি সড়ক ওভারপাস, ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি রেল ওভারপাস, ৬.২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের স্লো মুভিং ভেজকিউলার ট্রাফিক লেন নির্মাণ করা হবে। চারলেন মহাসড়ক, মূল সেতু সংলগ্ন একটি টোল প্লাজা ও একটি দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র সংবলিত বিশ্রামাগার নির্মাণ এবং প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য স্টিল আর্চ সেতুর সংযোজন করা হবে।

ভূমি অধিগ্রহণসহ প্রকল্পটির মোট ব্যয় তিন হাজার ২৬৩ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা যার মধ্যে (জিওবি এক হাজার ৩৫৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ এক হাজার ৯০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা)। সেতুটি ময়মনসিংহের কেওয়াটখালীতে বিদ্যমান রেলসেতুর কাছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত হবে। স্টিল আর্চ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৩২০ মিটার ও প্রস্থ ৪২.১৫ মিটার। মূল সেতুর মোট স্প্যান সংখ্যা ২২টি। স্টিল আর্চ অংশের স্প্যান সংখ্যা ৩টি। মূল সেতুর পিলার সংখ্যা ২১টি। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ৩০ জুন শেষ হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ময়মনসিংহ জেলা সদরসহ নেত্রকোনার বিজয়পুর, শেরপুরের নাকুগাঁও, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এবং জামালপুরের ধানুয়া কামালপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরগুলোর সঙ্গে রাজধানী ঢাকার নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলের সঙ্গে মূল মহাসড়ক নেটওয়ার্ক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও বিদ্যমান শম্ভুগঞ্জ সেতুর যানজট নিরসনের পাশাপাশি এ অঞ্চলের ইপিজেড এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান মো. আফতাবউদ্দিন, পরিচালক আরিফ খানসহ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমওএস/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।