প্রতি কেজি চিনি ১১৫ টাকা, ৯৮ টাকা করে ডাল কিনবে সরকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৪ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ১১৫ টাকা ৪২ পয়সা কেজি দরে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে ৯৮ টাকা ৪৫ পয়সা কেজি দরে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হবে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ভর্তুকিমূলে এই চিনি ও ডাল বিক্রি করা হবে।

২১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এই এই চিনি ও মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ’র সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার টন চিনি কেনার একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকিমূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার টন চিনি কেনার জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি দরপ্রস্তব জমা পড়ে। দুটি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে ১০ হাজার টন চিনি (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ১১৫ টাকা ৪২ পয়সা। আর ১০ হাজার টন চিনি ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয় ১১৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চিনি ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৪ হাজার টন। এ পর্যন্ত ক্রয় চুক্তি হয়েছে ৩৫ হাজার টন। নতুন করে এখন আরও ১০ হাজার টন চিনি কেনার অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

এদিকে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আর এক প্রস্তাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার অনুমোদন চাওয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে।

জানা গেছে, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি দামে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তিনটি দরপ্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে এই মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি ৯৮ টাকা ৪৫ পয়সা হিসেবে ১০ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৯৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মসুর ডাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮৮ হাজার টন। এ পর্যন্ত ক্রয় চুক্তি হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৫০ টন। এখন আরও ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

এমএএস/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।