প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে বেসরকারি টিটি কলেজ শিক্ষক সমিতির বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৫ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২১

গত ১১ নভেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ‘বেসরকারি ২৩ টিটি কলেজে বিএড স্কেল দেওয়ার নির্দেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং (টিটি) কলেজ শিক্ষক সমিতি।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অধিভুক্তির শর্তাবলি ও প্রশিক্ষণের গুণগতমান রক্ষা করতে না পারায় ২০০৮ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩৭টি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজকে লাল তালিকাভুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করে। কলেজগুলোকে অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দেওয়া। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে লাল তালিকার ৩৭টি কলেজ থেকে ২৩টি কলেজ আদালতের শরণাপন্ন হয়। বাদ বাকি কলেজ এমনিই বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালের মামলাটির ওপর ২০১৫ সালে একটি আদেশ দেন আদালত। আদেশে ২০০৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মামলা চলাকালীন সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসব কলেজ থেকে যারা পাস করেছেন, কেবল তাদের অর্জিত সনদ বৈধ ঘোষণা করা হয়।

‘তবে এই আদেশে কলেজগুলো বৈধ হওয়ার কিংবা ভবিষ্যতে এসব কলেজ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে ছাত্র ভর্তি করাতে পারবে কি না তার কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কিন্তু কলেজের মালিকপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের এই আদেশের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাউশির (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর) কাছে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এবং ২০১৯ সালে ওই অধিদপ্তর থেকে মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি পক্ষপাতমূলক চিঠি ইস্যু করায়। যাতে কেবল মামলায় থাকা ২৩টি কলেজ ব্যতীত অন্য কলেজ থেকে বিএড সনদ গ্রহণ না করার আদেশ দেওয়া হয়।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেই আদেশের পর নড়েচড়ে বসেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বাদ বাকি মানসম্পন্ন কলেজগুলোর প্রতিনিধিরা। যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ১০০টি কলেজ বিএড প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে, সেখানে কী করে মাত্র ২৩টি কলেজের পক্ষে এমন এক তরফা নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি, তা অধিদফতরের মহাপরিচালকের (ডিজি) মহোদয়ের নজরে আনলে তিনি তৎক্ষণাৎ ওই আদেশ বাতিল করে চিঠি ইস্যু করেন। (স্মারক নং: ওএম-০১-ম/২০১৫/২২৬১, তারিখ: ২২/০৫/২০১৯)।’

‘কিন্তু মাউশির কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সেই চিঠি আর পৌঁছেনি জেলা শিক্ষা অফিসার/উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে। এমনকি মাউশির ওয়েবসাইটেও এই চিঠি আপলোড করা হয়নি। লাল তালিকার কলেজগুলো মাউশির এই আসকারাকে কাজে লাগিয়ে সম্প্রতি আবার বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে খবর প্রচার করে দাবি করছে যে, তাদের ২৩টি কলেজ ব্যতীত অন্য কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রি নিলে বিএড স্কেল পাওয়া যাবে না, যা সঠিক নয়’—উল্লেখ করা হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

এমএইচএম/এইচএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।