এমপিওসহ ৬ দফা দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবস্থান

সারাদেশের ২৬৯৭ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়কে স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তিসহ ছয়দফা দাবিতে তিনদিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ।
তাদের দাবিগুলো হলো— অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিও নিশ্চিতকরণ, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়োগের তারিখ থেকে চাকরি নিয়মিতকরণ ও বেতন-ভাতা দেওয়া, শতভাগ বিদ্যালয়ে আধুনিক মানসম্পন্ন প্রতিবন্ধী বান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষা কারিকুলাম অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন, একটি আধুনিক থেরাপি সেন্টার নিশ্চিতকরণ ও সব শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ দেওয়া, প্রতিবন্ধী ভাতা নূন্যতম ৫ হাজার টাকা নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষাজীবন শেষে প্রত্যেকের আত্মনির্ভরশীল জীবন-যাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।
তৃতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দাবি আদায়ে স্লোগান দেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষকরা। এর আগে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষকরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়— জাতীয় প্রেস ক্লাবের বাইরে ফুটপাতে প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এর আগে ২০ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে দাবির কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিমা খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই বছর আগে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্যসহ অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়। বিগত দুই বছরেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় সরকারের মানবিক দৃষ্টি পেতেই এ কর্মসূচি।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্তিসহ ছয় দফা দাবিতে গত চারমাস আগে রাজধানীর শাহাবাগে আমরা আন্দোলন শুরু করলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তার ওপর আস্থা রেখে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। তার আশ্বাসের পরপর পরিদর্শন কাজ শুরু হলেও চার মাসেও এমপিওভুক্তির কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আবার আন্দোলনে নেমেছি।
উপস্থিত শিক্ষক ও পরিষদের নেতারা জানান, দুই বছর আগে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর সব তথ্য অনলাইনে জমা দেয়। তবে, অদ্যবধি আমাদের বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এতে অনিশ্চিয়তার মুখে পড়ছে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী।
এমএইচএম/এমএএইচ/জেআইএম