এমপিও-উচ্চতর গ্রেডের নামে টাকা দাবি করলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ

এমপিওভুক্তি, উচ্চতর গ্রেড, এমপিও শিটে নাম-পদবি পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা দাবি করছে একটি চক্র। বিভিন্ন মাদরাসার প্রধান ও শিক্ষকদের ফোন করে দাবি করা হচ্ছে এই টাকা। সম্প্রতি এরকম একটি অভিযোগ উঠেছে। কেউ এমনটি করে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে বলেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: প্রতারক এড়াতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সর্তকতা
অধিদপ্তর বলছে, কোনো কাজে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। টাকার বিনিময়ে অধিদপ্তরে কোনো কাজ হওয়ার সুযোগ নেই। কেউ টাকা দাবি করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানাতে মাদরাসা প্রধান, শিক্ষক ও কর্মচারীদের বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে টাকা দাবি করতে ব্যবহৃত ফোন নম্বরগুলো জানাতে বলা হয়েছে অধিদপ্তরকে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া, নতুন বিজ্ঞপ্তি মার্চে
প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসাইন সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রকার প্রতারক চক্র বা ব্যক্তি সরাসরি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যক্তির এমপিওভুক্তি করা, উচ্চতর স্কেল দেওয়া, পদোন্নতি, ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়নে সহযোগিতা, এমপিও শিটে নাম, পদবি, জন্মতারিখ সংশোধন, বকেয়া দেওয়া, প্রশিক্ষণে শিক্ষক-কর্মকর্তা মনোনয়ন, ইনডেক্স দেওয়া ও কর্তনসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে মাদরাসায় ফোন, মেইল, এসএমএস করে টাকা দাবি করা হচ্ছে। এরইমধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে একাধিক প্রতারক চক্র টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বিমার আওতায় আনতে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে কোনো কাজে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট বিধিবিধানের ভিত্তিতে সেবা দিয়ে থাকে। টাকার বিনিময়ে বা উপহারের বিনিময়ে কোনো কিছুই হওয়ার সুযোগ নেই। অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। যে সব ফোন নম্বর দিয়ে টেলিফোন করে টাকা দাবি করা হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করার জন্য অধিদপ্তরকে জানানো প্রয়োজন।
এমএইচএম/জেডএইচ/জেআইএম