করোনাকালে অষ্টম-নবমের ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী কোচিং-গাইডনির্ভর ছিল
করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর প্রাইভেট বা কোচিংয়ে নির্ভরতা বেশি ছিল। শহর ও গ্রাম সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেই এমন নির্ভরতা দেখা গেছে। এতে অভিভাবকদের খরচও বেড়েছে।
অভিভাবকদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী- অষ্টম শ্রেণির প্রায় ৬৪ শতাংশ ও নবম শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট বা কোচিংয়ের জন্য প্রতি মাসে এক থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করেছে। গণসাক্ষরতা অভিযানের করা এক গবেষণা এমন তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ‘এডুকেশন ওয়াচ স্টাডি ২০২২’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজার হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলেনে ‘মহামারি-উত্তর শিক্ষা: স্কুল শিক্ষার পুনরুদ্ধার ও আগামীর অভিযাত্রা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের সার্বিক দিক তুলে ধরেন এডুকেশন ওয়াচের ফোকাল পয়েন্ট ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রাথমিকে ৭৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিকে ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের পাঠ ও পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাণিজ্যিক গাইড বই অনুসরণ করছে।
২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে প্রাথমিক পর্যায়ে গড়ে ৬৬৯ এবং মাধ্যমিকে পর্যায়ে দুই হাজার ৬৫ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
সংবাদ সম্মেলনে এডুকেশন ওয়াচের সভাপতি ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গবেষক ড. সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন, এডুকেশন ওয়াচের সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএএইচ/এমএস