শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষার অবস্থা এতই খারাপ, তিন মাসে কিছু করা সম্ভব নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩১ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৫
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, দেশের শিক্ষাখাত ও শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা খুবই নাজুক। স্বল্পসময়ে এ খাতের তেমন সংস্কার করা সম্ভব নয়। আর তিনমাস কাজ করে কিছুই করা সম্ভব নয়। এজন্য সংস্কার কমিশন করেও খুব একটা লাভ নেই। এটা আমার মতামত।আমি এটা বলেছিও।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা একটা দেশে নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে। এটা একটা সাইকেল (চক্রাকার)। প্রাইমারি স্কুল খারাপ হলে, মাধ্যমিকেও খারাপ হবে। তারা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে তারাই তো আবার শিক্ষক হবে, পড়াবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা প্রথম খারাপ হয় ১৯৭২ সালে। বঙ্গবন্ধুর সময়ে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ইউসুফ আলী। তার একটা প্রচণ্ড ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা হলো- ভালো যে কলেজগুলো ছিল, নামকরা কলেজ যাকে বলে; বিএম কলেজ, ঢাকা কলেজ, মুরারীচাঁদ কলেজ, রাজশাহী কলেজ; প্রথমে এগুলোকে ইউনিভার্সিটি কলেজ বানিয়ে দিয়েছিল।


আরও পড়ুন

‘এরপর পলিটিক্যালি সব কলেজগুলোকে জাতীয়করণ করা হলো। জাতীয়করণ না করলেও ব্যক্তি উদ্যোগে গ্রামে গ্রামে কলেজ গড়ে তোলা হলো, অনুমোদন নেওয়া হলো। এভাবে গড়ে উঠলো আজকের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখন এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি বেকার’ যোগ করেন উপদেষ্টা।

সভায় অন্যদের মধ্যে ইরাবের সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, নিজামুল হক, শরীফুল আলম সুমন, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি শাহেদ মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, কোষাধ্যক্ষ নাজিউর রহমান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফান এইচ সায়েম, দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল্লাহ আল জোবায়েরসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এএএইচ/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।