শরীফ ওবায়েদুল্লাহর ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ: পথ না হোক শিশুর ঠিকানা’

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে নবোদ্যম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শরীফ ওবায়েদুল্লাহর বই ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ: পথ না হোক শিশুর ঠিকানা’। সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের জীবন সংগ্রাম ও তাদের উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে লিখেছেন লেখক। বইতে তিনি পথশিশুদের বাস্তব পরিস্থিতি, দৈনন্দিন জীবন, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছেন। বইটি প্রকাশ করছে বইমই প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন শাওন মাহমুদ।

শরীফ ওবায়েদুল্লাহ বলেন, ‘প্রতিটি শিশু একটি ফুলের মতো, যার বিকাশ ও প্রস্ফুটন নির্ভর করে যত্ন ও পরিচর্যার ওপর। কিন্তু আমাদের চারপাশের অনেক শিশু সেই যত্ন ও সুরক্ষার বাইরে পড়ে আছে। পথশিশুরা আমাদের সমাজের এমন একটি অংশ, যারা প্রতিদিন নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকে। তাদের জীবন সংগ্রাম আমাদের মানবিকতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’

তিনি বলেন, ‘বইটি সেসব পথশিশুর জীবনের গল্প এবং তাদের প্রাপ্য অধিকার ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতে বিনম্র প্রচেষ্টা। বাংলাদেশের দ্রুত নগরায়ন এবং সামাজিক অসমতার কারণে পথশিশুদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশুরা কেবল খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এবং শিক্ষা থেকে বঞ্চিত নয় বরং সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্যও নানা বাধার সম্মুখীন। তাদের প্রতি অবহেলা শুধু তাদের নয়, আমাদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যও বাধা।’

শরীফ যোগ করেন, ‘বিগত ১২ বছর ধরে পথশিশুদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাদের জীবন, দুঃখ, আনন্দ এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার অনেক গল্প শুনেছি। তাদের প্রতিদিনের লড়াই আমাকে শুধু অনুপ্রাণিতই করেনি বরং আমাকে এক নতুন চোখে জীবনকে দেখতে শিখিয়েছে। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় সেই অভিজ্ঞতার প্রতিফলন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শরীফ সমাজের অবহেলিত পথশিশুর জন্য নিবেদিত প্রাণ। তিনি নবোদ্যম ফাউন্ডেশন ও সেভ দ্য টুমরো স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। যা এক যুগ ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পথশিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক সহায়তা দিতে কাজ করছে। শরীফ দেশের জাতীয় দৈনিকে পথশিশুর সমস্যা নিয়ে নিয়মিত লেখেন।

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।