চলে গেলেন ‘হ্যারি পটার’ সিনেমার ‘ডাম্বেলডোর’

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৪ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চলে গেলেন জনপ্রিয় ‘হ্যারি পটার’ সিনেমার ‘আলবাস ডাম্বেলডোর’ নামে পরিচিত অভিনেতা মাইকেল গ্যামবন। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

মাইকেল গ্যামবনের মৃত্যুর কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অ্যানি মিলার ও ছেলে ফারগুস গ্যামবন। সংবাদ সংস্থা ‘সিএনএন’ এমনটাই জানিয়েছে।

মাইকেল গ্যামবনের পরিবারের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘তার (মাইকেল গ্যামবনের) জীবনাবসানের ঘোষণা করছি গভীর দুঃখের সঙ্গে। তিনি আমাদের একজন শ্রেষ্ঠ অভিভাবক ছিলেন।’ মৃত্যুর সময়ে পাশে ছিলেন তার স্ত্রী অ্যানি এবং ছেলে ফারগুস।

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন মাইকেল গ্যামবন। ২০০২ সালে ‘হ্যারিপটার’ সিরিজের সিনেমার প্রথম প্রফেসর ডাম্বেলডোর ওরফে রিচার্ড হ্যারিসের মৃত্যুর পর তাকেই পরবর্তী ডাম্বলডোরের চরিত্রে বেছে নেওয়া হয়েছিল। যদিও মাইকেল একবার সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন যে হ্যারি পটারের লেখিকা জে কে রাউলিংয়ের সর্বাধিক বিক্রিত বইগুলোর একটিও পড়া হয়নি তার।

তার মতে, বইগুলো পড়ে প্রভাবিত না হয়ে চিত্রনাট্য পড়াটাই বেশি নিরাপদ। একটি বই না পড়েও প্রফেসর ডাম্বলডোরের সঙ্গে একাত্ম হতে অসুবিধা হয়নি তার। ছয়টি সিরিজে সেই জাদুকর এবং শিক্ষক নিজের ছাত্রদের রক্ষা করার জন্য মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।

১৯৪০ সালে আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মাইকেল গ্যামবন। পরে লন্ডনে বড় হন তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার পর মঞ্চের প্রতি গভীর টানে অভিনয় জগতে আসে গ্যামবন। ‘ওথেলো’ নাটকে অভিনয় করে তার অভিনয় জীবনের সূচনা হয়। ১৯৯৮ সালে মঞ্চে অভিনয়ের জন্য তাকে বিশেষ উপাধি দেওয়া হয়।

এমএমএফ/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।