ঢাকায় ফিরেই স্ত্রীকে ডিভোর্স দেবেন হিরো আলম

ঢাকায় ফিরেই স্ত্রী মডেল রিয়ামনিকে ডিভোর্স দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বগুড়ার ডিশ ব্যবসায়ী থেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে আলোচনায় আসা হিরো আলম। জীবনের শেষ সময়ে তার পালক বাবার পাশে ছিলেন না স্ত্রী। সেজন্য গতকাল (১৬ এপ্রিল) ফেসবুকে রিয়ামনিকে বয়কটের ঘোষণাও দেন তিনি। এবার বললেন, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা।
আজ (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে কথা বলেন হিরো আলম। সেখানে তিনি বলেন, ‘এর আগে অনেকবার মাফ করেছি রিয়ামনিকে। আমার সঙ্গে ক্যাচাল হলে অন্য ছেলের সঙ্গে গান করে, মদ খায়, বারে যায়। আপনারা সবাই জানেন আমি তাকে বয়কট করেছি। বয়কট মানে তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবো না। আমি ঢাকা যাওয়ার পর তার সঙ্গে সেপারেট হয়ে যাবো। যে বক্তব্যগুলো রিয়ামনি দিচ্ছে, সেগুলো প্রমাণসহ দিতে হবে। প্রমাণ ছাড়া কোনো বক্তব্য আমাকে নিয়ে যেন না দেয়।’
- আরও পড়ুন
- ‘বাবা’র পাশে না থাকায় স্ত্রী রিয়ামনিকে বয়কটের ঘোষণা হিরো আলমের
- হিরো আলম মানসিকভাবে ঠিক নেই, দাবি রিয়ামনির
গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুর রাজ্জাক। তিনি হিরো আলমের পালক বাবা। শৈশবে হিরো আলমের অভিভাবকত্ব নেন তিনি। তার প্রকৃত বাবা ২০১৭ সালে মারা যান।
‘বাবা’র মৃত্যুর খবর জানিয়ে হিরো আলম ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘রিয়ামনিকে আমার জীবন থেকে বয়কট করলাম। কারণ আমার বাবা হসপিটালে। সে আমার বাবার কাছে না থেকে বিভিন্ন ছেলেদের নিয়ে নাচগান করে বেড়ায় এবং তার পরিবারে কোনো সদস্য আমার বাবাকে এতদিন হসপিটালে দেখতে আসেনি। আমার বাবা বেঁচে থাকতে দেখতে আসলো না। তাহলে আমি মরে পড়ে থাকলে সে কি করবে?’
হিরো আলম আরও উল্লেখ করেন, ‘রিয়ামনি মায়ামনি ঢাকা শহরে বিভিন্ন বারের ডান্সার। সেখান থেকে আমি একটা ভালো পথে আনার চেষ্টা করেছিলাম। ছেড়ে দেওয়া গরু কোনোদিন ঘরে বন্দি করে রাখা যায়? খুব শিগগিরই রিয়া যে কত খারাপ বুঝতে পারবেন আপনারা।’
এদিকে হিরো আলমের ফেসবুক পোস্টের কথা শুনেছেন দাবি করে রিয়ামনি জাগো নিউজে বলেন, ‘মানসিকভাবে ঠিক নেই উনি (হিরো আলম), যেহেতু উনার বাবা মারা গেছেন। সত্য কথা বলতে কী এই বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।’
একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়ামনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে কারণেই দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দেন। পরে হিরো আলম রিয়ামনিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু কাজও করছেন হিরো আলম।
এমআই/এলআইএ/জিকেএস